ঢাকা ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈষম্যবিরোধীদের নতুন কমিটি : কার লাভ কার ক্ষতি ?

শিবলী মাহাদী, লেখক ও কলামিষ্ট
  • আপডেট সময় : ০৫:২২:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ২০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক মিরর টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বৈষম্যবিরোধীদের কমিটি শুরু হলো চরম বৈষম্যের মধ্যে দিয়ে! একটা বিষয় তো পরিষ্কার সমাজের নাক-উচুঁ শ্রেণি গুলো ভেতর দিয়ে ভেতর দিয়ে একাকার!

জুলাই অভ্যুত্থানের ডাক দিয়ে ঢাবি আন্দোলন শুরু করে ১৭ই জুলাই শেষ করে দিয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছে। মনে আছে সেদিনের কথা? ঢাবি কর্তৃপক্ষ “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩-এর ক্ষমতাবলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও একাডেমিক পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে” সেদিনই সিংহভাগ শিক্ষার্থী যে যেভাবে পেরেছে ঢাকা ত্যাগ করেছে।

 

তাহলে ১৭ জুলাই এরপর আন্দোলন করলো কারা? জুলাই অভ্যুত্থান কে বেগমান এবং গণ আন্দোলনে রূপ দিয়ে ফ্যাসিস্টদের পতন নিশ্চিত করেছে সম্মিলিত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শুধু তাই নয় সেদিন তাদের সাথে স্কুল ,কলেজ ,মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও মাঠে নেমে আসে।

 

ঢাকা কে অচল করেছে কারা?
ঢাবি তো শাহাবাগ ব্যাতিত কোথাও আন্দোলন করতে পারেনা এবং করেনি। কিন্তু ঢাকার উত্তরবঙ্গের প্রবেশমুখ বিশেষ করে বৃহত্তর উত্তরা এবং দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশমুখ যাত্রাবাড়ী অচল করে দিয়েছিলো এই বেসরকারীর শিক্ষার্থীরাই। এছাড়াও ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক (কুড়িল-বিশ্বরোড, রামপুরা, মালিবাগ, মোহাম্মদপুর,মিরপুর সহ সকল সড়ক অচল করে দেয় এই বেসরকারীরাই।

 

কাদের কত ক্ষতি হয়েছে?
আপনি জানেন, জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের মধ্যে ৮০ শতাংশ বেসরকারি স্কুল ,কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থর! শুধু ৪ই আগষ্ট ১৭ জন শিক্ষার্থী শুধু ঢাকাতেই নিহত হয়েছিলো তারা কেউ ঢাবিয়ান ছিলোনা।

 

ঢাবিদের আশ্রয় ও নিরাপত্তা দিলো কারা?
ঢাবির ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী হলে বসবাস করে। আন্দোলনে শুরুর দিকে আন্দোলনকারীরা হলে থাকতে পারতোনা। বেসরকারির শিক্ষার্থীরাই তাদের আশ্রয় দিয়েছে। এলাকাভিত্তিক প্রটোকল দিয়েছে।

 

তাহলে এতো কিছুর পরেও বেসরকারীদের কমিটিতে আনতে আপত্তি কিসের? চাকুরির বাজারে তোমরা অগ্রাধিকার নেও যোগ্যতা যোগ্যতা বলে মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু কমিটিতে তোমরা কোন যোগ্যতায় ১৮ আনা দখল চাইছো?

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বৈষম্যবিরোধীদের নতুন কমিটি : কার লাভ কার ক্ষতি ?

আপডেট সময় : ০৫:২২:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বৈষম্যবিরোধীদের কমিটি শুরু হলো চরম বৈষম্যের মধ্যে দিয়ে! একটা বিষয় তো পরিষ্কার সমাজের নাক-উচুঁ শ্রেণি গুলো ভেতর দিয়ে ভেতর দিয়ে একাকার!

জুলাই অভ্যুত্থানের ডাক দিয়ে ঢাবি আন্দোলন শুরু করে ১৭ই জুলাই শেষ করে দিয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছে। মনে আছে সেদিনের কথা? ঢাবি কর্তৃপক্ষ “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩-এর ক্ষমতাবলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও একাডেমিক পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে” সেদিনই সিংহভাগ শিক্ষার্থী যে যেভাবে পেরেছে ঢাকা ত্যাগ করেছে।

 

তাহলে ১৭ জুলাই এরপর আন্দোলন করলো কারা? জুলাই অভ্যুত্থান কে বেগমান এবং গণ আন্দোলনে রূপ দিয়ে ফ্যাসিস্টদের পতন নিশ্চিত করেছে সম্মিলিত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শুধু তাই নয় সেদিন তাদের সাথে স্কুল ,কলেজ ,মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও মাঠে নেমে আসে।

 

ঢাকা কে অচল করেছে কারা?
ঢাবি তো শাহাবাগ ব্যাতিত কোথাও আন্দোলন করতে পারেনা এবং করেনি। কিন্তু ঢাকার উত্তরবঙ্গের প্রবেশমুখ বিশেষ করে বৃহত্তর উত্তরা এবং দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশমুখ যাত্রাবাড়ী অচল করে দিয়েছিলো এই বেসরকারীর শিক্ষার্থীরাই। এছাড়াও ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক (কুড়িল-বিশ্বরোড, রামপুরা, মালিবাগ, মোহাম্মদপুর,মিরপুর সহ সকল সড়ক অচল করে দেয় এই বেসরকারীরাই।

 

কাদের কত ক্ষতি হয়েছে?
আপনি জানেন, জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের মধ্যে ৮০ শতাংশ বেসরকারি স্কুল ,কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থর! শুধু ৪ই আগষ্ট ১৭ জন শিক্ষার্থী শুধু ঢাকাতেই নিহত হয়েছিলো তারা কেউ ঢাবিয়ান ছিলোনা।

 

ঢাবিদের আশ্রয় ও নিরাপত্তা দিলো কারা?
ঢাবির ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী হলে বসবাস করে। আন্দোলনে শুরুর দিকে আন্দোলনকারীরা হলে থাকতে পারতোনা। বেসরকারির শিক্ষার্থীরাই তাদের আশ্রয় দিয়েছে। এলাকাভিত্তিক প্রটোকল দিয়েছে।

 

তাহলে এতো কিছুর পরেও বেসরকারীদের কমিটিতে আনতে আপত্তি কিসের? চাকুরির বাজারে তোমরা অগ্রাধিকার নেও যোগ্যতা যোগ্যতা বলে মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু কমিটিতে তোমরা কোন যোগ্যতায় ১৮ আনা দখল চাইছো?