ঢাকা ০৮:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার অভিযোগ

কুমারখালীতে বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে জামায়াত বিএনপির সংবাদ সম্মেলন

কুমারখালী প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০২:০৬:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৩২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক মিরর টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে শান্তি নষ্টকারী দুই ত্রাস উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খান আলী ও তার পিতা আব্দুস সামাদ খান পাখির বিরুদ্ধে কুমারখালী সর্বদলীয় ঐক্য জোটের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে এলঙ্গীপড়া জামায়াত নেতা আফজাল হোসেনের বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, আগস্টের ৫ তারিখের পর কুমারখালীতে বিভিন্ন সময় মানুষকে ভয় দেখিয়ে, হুমকি প্রদান করে বিভিন্ন সুবিধা নিচ্ছে পাখি ও তার ছেলে আলী নামে এই দুইজন ব্যক্তি। যার প্রেক্ষিতে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পাখির বাড়ি-ঘর ভাঙচুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে আমরা সকল প্রকার ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের বিপক্ষে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, আব্দুস সামাদ খান ওরফে পাখি আওয়ামী লীগের প্রোডাক্ট। তিনি কোন বিএনপি নেতা নয়। অপরদিকে তার ছেলে আসাদুজ্জামান খান আলী কুমারখালী পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

অথচ এখন পাখি বিএনপি নেতা বলে দাবি করছেন। অপরদিকে কুমারখালী উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিবের পদ বাগিয়ে নিয়েছেন তার ছেলে আসাদুজ্জামান খান আলী বলেও অভিযোগ করেন তারা।

এছাড়াও তাদের দাবি, পাখি ও আলী বাপ বেটা মিলে সাথে কিছু আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ পন্থী ক্যাডার নিয়ে চাঁদাবাজী চালিয়ে যাচ্ছেন।

এছাড়াও হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর বিভিন্ন রকম চাপ প্রয়োগ করে নীরব চাঁদাবাদী ধরে রেখেছেন। বিভিন্ন রাস্তাঘাটের কাজের ঠিকাদারদের কাছ থেকে তারা দাবি করছেন যার ফলে অনেক কাজ পড়ে আছে৷

এছাড়াও চাঁদা না দেওয়ায় কুমারখালী তাঁত বোর্ডের কাজ পাখি ও আলী বন্ধ করে দেয়। অভিযোগ করা হয় জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাকী বিল্লাহ আল বাদশাক তার নাতী ছেলের শূন্যতে খাতনার বাজার করতে আসলে তাকে তুলে নিয়ে দেড় লক্ষ টাকা কেড়ে নেই আব্দুস সামাদ খান পাখি। নেপথ থেকে নেতৃত্ব দেয় ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব ও তার ছেলে আসাদুজ্জামান খান আলী।

 

কুমারখালী উপজেলা বিএনপি ও কুমারখালী উপজেলা জামায়াত বেষ্টিত এই সর্বদলীয় ঐক্য জোটের সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন কুমারখালী উপজেলা জামাতের আমীর আফতাব উদ্দিন, উপজেলার বিএনপির সদস্য সচিব লুৎফর রহমান, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও সাবেক ভাইর্স চেয়ারম্যান আফজাল হুসাইন, পৌর বিএপির আহবায়ক হাজী মনোয়ার হোসেন, উপজেলা যুবদলের সভাপতি জাকারিয়া আনছাড় মিলন, সাবেক সাধারন সম্পাদক খান আতিকুর রহমান সবুজ প্রমুখ।

 

এসময় আরো জানানো হয় আসাদুজ্জামান আলীকে দ্রুত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমারখালী উপজেলা শাখার সদস্য সচিব পদ থেকে বহিষ্কার না করলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণাও দেন সংবাদ সম্মেলনের মঞ্চ থেকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার অভিযোগ

কুমারখালীতে বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে জামায়াত বিএনপির সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০২:০৬:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে শান্তি নষ্টকারী দুই ত্রাস উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খান আলী ও তার পিতা আব্দুস সামাদ খান পাখির বিরুদ্ধে কুমারখালী সর্বদলীয় ঐক্য জোটের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে এলঙ্গীপড়া জামায়াত নেতা আফজাল হোসেনের বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, আগস্টের ৫ তারিখের পর কুমারখালীতে বিভিন্ন সময় মানুষকে ভয় দেখিয়ে, হুমকি প্রদান করে বিভিন্ন সুবিধা নিচ্ছে পাখি ও তার ছেলে আলী নামে এই দুইজন ব্যক্তি। যার প্রেক্ষিতে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পাখির বাড়ি-ঘর ভাঙচুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে আমরা সকল প্রকার ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের বিপক্ষে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, আব্দুস সামাদ খান ওরফে পাখি আওয়ামী লীগের প্রোডাক্ট। তিনি কোন বিএনপি নেতা নয়। অপরদিকে তার ছেলে আসাদুজ্জামান খান আলী কুমারখালী পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

অথচ এখন পাখি বিএনপি নেতা বলে দাবি করছেন। অপরদিকে কুমারখালী উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিবের পদ বাগিয়ে নিয়েছেন তার ছেলে আসাদুজ্জামান খান আলী বলেও অভিযোগ করেন তারা।

এছাড়াও তাদের দাবি, পাখি ও আলী বাপ বেটা মিলে সাথে কিছু আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ পন্থী ক্যাডার নিয়ে চাঁদাবাজী চালিয়ে যাচ্ছেন।

এছাড়াও হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর বিভিন্ন রকম চাপ প্রয়োগ করে নীরব চাঁদাবাদী ধরে রেখেছেন। বিভিন্ন রাস্তাঘাটের কাজের ঠিকাদারদের কাছ থেকে তারা দাবি করছেন যার ফলে অনেক কাজ পড়ে আছে৷

এছাড়াও চাঁদা না দেওয়ায় কুমারখালী তাঁত বোর্ডের কাজ পাখি ও আলী বন্ধ করে দেয়। অভিযোগ করা হয় জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাকী বিল্লাহ আল বাদশাক তার নাতী ছেলের শূন্যতে খাতনার বাজার করতে আসলে তাকে তুলে নিয়ে দেড় লক্ষ টাকা কেড়ে নেই আব্দুস সামাদ খান পাখি। নেপথ থেকে নেতৃত্ব দেয় ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব ও তার ছেলে আসাদুজ্জামান খান আলী।

 

কুমারখালী উপজেলা বিএনপি ও কুমারখালী উপজেলা জামায়াত বেষ্টিত এই সর্বদলীয় ঐক্য জোটের সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন কুমারখালী উপজেলা জামাতের আমীর আফতাব উদ্দিন, উপজেলার বিএনপির সদস্য সচিব লুৎফর রহমান, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও সাবেক ভাইর্স চেয়ারম্যান আফজাল হুসাইন, পৌর বিএপির আহবায়ক হাজী মনোয়ার হোসেন, উপজেলা যুবদলের সভাপতি জাকারিয়া আনছাড় মিলন, সাবেক সাধারন সম্পাদক খান আতিকুর রহমান সবুজ প্রমুখ।

 

এসময় আরো জানানো হয় আসাদুজ্জামান আলীকে দ্রুত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমারখালী উপজেলা শাখার সদস্য সচিব পদ থেকে বহিষ্কার না করলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণাও দেন সংবাদ সম্মেলনের মঞ্চ থেকে।