ঢাকা ০৯:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১১৩৭ জনের বিষয়ে রায় আজ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক মিরর টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিয়োগের আগে হঠাৎ মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিলের সিদ্ধান্তকে বৈধ ঘোষণা করা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিতদের আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার জন্য রেখেছেন সর্বোচ্চ আদালত।

গতকাল বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে নিয়োগবঞ্চিত এক হাজার ১৩৭ জনের তিনটি আপিলের শুনানি শেষ হয়। আদালতে আপিলকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। আর পিএসসির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া।

২০০৫ সালের ২৮ জুন ২৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেয় বিপিএসসি। মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় ২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারি।

এই ফলাফলের ভিত্তিতে বিপিএসসি বিভিন্ন ক্যাডারে তিন হাজার ৫৬৭ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে। নিয়োগ প্রক্রিয়া চলার মধ্যে মৌখিক পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে বিপিএসসি মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিল করে নতুন করে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়। এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে তিনটি রিট আবেদন করেন নিয়োগপ্রত্যাশীরা। রিটে প্রাথমিক শুনানির পর ২০০৭ সালের ২২ জুলাই হাইকোর্ট বিপিএসসির সিদ্ধান্তের বৈধতা প্রশ্নে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

রুল জারির সাত দিন পর অর্থাৎ ২৯ জুলাই থেকে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে বিপিএসসি। শেষ হয় ২০০৮ সালের ১৮ মে। এর দেড় মাস পর ৩ জুলাই হাইকোর্ট রুল খারিজ করে রায় দেন। রায়ে প্রথম মৌখিক পরীক্ষা বাতিলে বিপিএসসির সিদ্ধান্তকে বৈধ ঘোষণা করা হয়। এই রায়ের পর ২৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার ফল ঘোষণা করে বিপিএসসি।

এতে তিন হাজার ২৩৯ জন উত্তীর্ণ হন। কিন্তু প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এক হাজার ১১৪ জন দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষায় আর উত্তীর্ণ হতে পারেননি।

পরে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে সাতটি রিট আবেদন করেন অনুত্তীর্ণরা। ২০০৮ সালের ২ নভেম্বর হাইকোর্ট দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার বৈধতা প্রশ্নে রুল জারি করেন। চূড়ান্ত শুনানির পর ২০০৯ সালের ১১ নভেম্বর ও ২০১০ সালের ২৫ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১১৩৭ জনের বিষয়ে রায় আজ

আপডেট সময় : ০২:১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিয়োগের আগে হঠাৎ মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিলের সিদ্ধান্তকে বৈধ ঘোষণা করা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিতদের আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার জন্য রেখেছেন সর্বোচ্চ আদালত।

গতকাল বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে নিয়োগবঞ্চিত এক হাজার ১৩৭ জনের তিনটি আপিলের শুনানি শেষ হয়। আদালতে আপিলকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। আর পিএসসির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া।

২০০৫ সালের ২৮ জুন ২৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেয় বিপিএসসি। মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় ২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারি।

এই ফলাফলের ভিত্তিতে বিপিএসসি বিভিন্ন ক্যাডারে তিন হাজার ৫৬৭ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে। নিয়োগ প্রক্রিয়া চলার মধ্যে মৌখিক পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে বিপিএসসি মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিল করে নতুন করে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়। এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে তিনটি রিট আবেদন করেন নিয়োগপ্রত্যাশীরা। রিটে প্রাথমিক শুনানির পর ২০০৭ সালের ২২ জুলাই হাইকোর্ট বিপিএসসির সিদ্ধান্তের বৈধতা প্রশ্নে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

রুল জারির সাত দিন পর অর্থাৎ ২৯ জুলাই থেকে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে বিপিএসসি। শেষ হয় ২০০৮ সালের ১৮ মে। এর দেড় মাস পর ৩ জুলাই হাইকোর্ট রুল খারিজ করে রায় দেন। রায়ে প্রথম মৌখিক পরীক্ষা বাতিলে বিপিএসসির সিদ্ধান্তকে বৈধ ঘোষণা করা হয়। এই রায়ের পর ২৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার ফল ঘোষণা করে বিপিএসসি।

এতে তিন হাজার ২৩৯ জন উত্তীর্ণ হন। কিন্তু প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এক হাজার ১১৪ জন দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষায় আর উত্তীর্ণ হতে পারেননি।

পরে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে সাতটি রিট আবেদন করেন অনুত্তীর্ণরা। ২০০৮ সালের ২ নভেম্বর হাইকোর্ট দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার বৈধতা প্রশ্নে রুল জারি করেন। চূড়ান্ত শুনানির পর ২০০৯ সালের ১১ নভেম্বর ও ২০১০ সালের ২৫ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেন।