ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর সাজেকে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

- আপডেট সময় : ০২:১৩:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১২ বার পড়া হয়েছে
রাঙামাটির বাঘাইছড়ির সাজেক ইকো ভ্যালিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর স্থানটিতে পর্যটক যাওয়া-আসায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। রাঙামাটি জেলা প্রশাসক হাবিব উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। হাবিব উল্লাহ বলেন, ‘সাজেকে পর্যটক গমন সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।’
আজ সোমবার সাজেকের ইকো ভ্যালিতে আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে ৯৪টি স্থাপনা। এর মধ্যে রয়েছে ৩২টি রিসোর্ট, ৩৫টি বসতবাড়ি, ২০টি দোকান এবং ৭টি রেস্টুরেন্ট।
সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সুবর্ন দেব বর্মন বলেন, ‘পুড়ে যাওয়া ৩৫ বসতবাড়ি ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ১৯টি। বাকিগুলো লুসাই জনগোষ্ঠীর।
অবশ্য রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের মিডিয়া উইংয়ের সহকারী কমিশনার ইমতিয়াশ ইয়াসিন এক বার্তায় জানিয়েছেন, এ ঘটনায় সর্বমোট ১২০ থেকে ১৪০টির স্থাপনা পুড়েছে। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ড হতে পারে।
সাজেক হিলভিউ রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী ইন্দ্রজিৎ চাকমা বলেন, ‘সোমবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে প্রথমে ইকো ভ্যালী রিসোর্টে আগুন দেখা যায়। পরে এটি আশপাশের অন্যান্য রিসোর্টে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় জনগণ, সেনাবাহিনী ও পুলিশ আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।’
পরে আগুনের খবর পেয়ে বাঘাইছড়ি, দিঘিনালা, খাগড়াছড়ি, পানছড়ি ও রাঙামাটি ফায়ার স্টেশনের ১১টি ইউনিট আগুন নেভাতে আসে। সম্মিলতি চেষ্টায় বিকাল ৫টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মোহাম্মদ জাকের হোসেন বলেন, ‘বিকাল ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও আগুন যাতে অন্যত্র ছড়াতে না পারে সেজন্য পানি ছিটানো হচ্ছে। তবে এলাকাটি পাহাড়ের ওপর হওয়াতে পানি নিয়ে সংকট পড়তে হয়েছে।’
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক হাবিব উল্লাহ বলেন, ‘প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হবে।’