ঢাকা ০২:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাকরিতে যোগদানের দাবিতে শ্রমিকদের অনশন

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৪৬:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক মিরর টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেবীগঞ্জে প্রজনন বীজ উৎপাদন কেন্দ্রে মৌসুমী শ্রমিক হিসেবে অনুমোদন পাওয়া ৬০ জন শ্রমিক চাকরিতে যোগদানের দাবিতে অনশন শুরু করেছেন। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পরও কাজে যোগদানের সুযোগ না পাওয়ায় তারা এ আন্দোলনে নেমেছেন।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে দেবীগঞ্জ প্রজনন বীজ উৎপাদন কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অনশনে বসেন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি কৃষি ইনস্টিটিউট থেকে ৬০ জন শ্রমিককে ‘কাজ নাই মজুরি নাই’ ভিত্তিতে মৌসুমী শ্রমিক হিসেবে নিয়োগের অনুমতি দেয়া হয়। তবে অনুমতি পাওয়ার পরও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তাদের যোগদান করাননি। গত ৩ ফেব্রুয়ারি যোগদান ইস্যুতে উত্তেজনা চরমে ওঠে। দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।

এদিকে নিয়োগপ্রাপ্ত ৬০ জন শ্রমিকের কাজে যোগদান নিয়ে বাধা সৃষ্টি করছে অপর একটি গ্রুপ। ওই গ্রুপের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৮০ জন। জামিরুল, বিষু মিয়া, মিলনসহ বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেন, অপর গ্রুপটি বিএনপির দলীয় প্রভাব বিস্তার করে এবং তাদের গ্রুপের সদস্যরা বাদ পড়ায় তারা নিয়োগপ্রাপ্তদের যোগদানে বাধা সৃষ্টি করছেন। অথচ তাদের যোগদানের বৈধ কোন কাগজ নেই।

রোববার সরেজমিন সকাল ৭টায় বীজ প্রজনন কেন্দ্রে গেলে দেখা যায়, অনুমতিপ্রাপ্ত ৬০ জন শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অফিসের সামনে অপেক্ষা করছেন। পরে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. অমল কুমার দাস অফিসে না আসায় সকলে তাঁর বাসভবনে যান।

পরে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. অমল কুমার দাস শ্রমিকদের সাথে কথা বলতে বাসা থেকে বেড়িয়ে আসেন। এই সময় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি যোগদান করাতে গেলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। আমার চাকরিও চলে যেতে পারে। এর আগে মারামারির ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে এখানে। আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েও কোন সমাধান পাইনি। ২০১৩ সালে একই অর্ডার হলেও তখনো তারা যোগদান করতে পারেনি। এখন আমাকে চাপ দিচ্ছে।

কেউ বাধা দিচ্ছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির লোকজন বাধা দিচ্ছে। এই সময় সফিকুল নামে এক ব্যক্তির কথা বলেন তিনি। যিনি এখানকার চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক ও বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত রয়েছেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সফিকুল বলেন, এখানে দলীয় প্রভাব খাটানো হয়নি। আমরা বঞ্চিত। স্বজনপ্রীতি করে এলাকার মানুষকে নিয়োগ না দিয়ে চিলাহাটি, টেপ্রীগঞ্জের মানুষকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমরা চাই আমাদের নিয়োগ যেন দ্রুত দেয়া হয়।

স্থানীয়রা মনে করছেন, দ্রুত সমাধান না হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন সাধারণ মানুষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চাকরিতে যোগদানের দাবিতে শ্রমিকদের অনশন

আপডেট সময় : ০২:৪৬:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেবীগঞ্জে প্রজনন বীজ উৎপাদন কেন্দ্রে মৌসুমী শ্রমিক হিসেবে অনুমোদন পাওয়া ৬০ জন শ্রমিক চাকরিতে যোগদানের দাবিতে অনশন শুরু করেছেন। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পরও কাজে যোগদানের সুযোগ না পাওয়ায় তারা এ আন্দোলনে নেমেছেন।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে দেবীগঞ্জ প্রজনন বীজ উৎপাদন কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অনশনে বসেন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি কৃষি ইনস্টিটিউট থেকে ৬০ জন শ্রমিককে ‘কাজ নাই মজুরি নাই’ ভিত্তিতে মৌসুমী শ্রমিক হিসেবে নিয়োগের অনুমতি দেয়া হয়। তবে অনুমতি পাওয়ার পরও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তাদের যোগদান করাননি। গত ৩ ফেব্রুয়ারি যোগদান ইস্যুতে উত্তেজনা চরমে ওঠে। দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।

এদিকে নিয়োগপ্রাপ্ত ৬০ জন শ্রমিকের কাজে যোগদান নিয়ে বাধা সৃষ্টি করছে অপর একটি গ্রুপ। ওই গ্রুপের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৮০ জন। জামিরুল, বিষু মিয়া, মিলনসহ বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেন, অপর গ্রুপটি বিএনপির দলীয় প্রভাব বিস্তার করে এবং তাদের গ্রুপের সদস্যরা বাদ পড়ায় তারা নিয়োগপ্রাপ্তদের যোগদানে বাধা সৃষ্টি করছেন। অথচ তাদের যোগদানের বৈধ কোন কাগজ নেই।

রোববার সরেজমিন সকাল ৭টায় বীজ প্রজনন কেন্দ্রে গেলে দেখা যায়, অনুমতিপ্রাপ্ত ৬০ জন শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অফিসের সামনে অপেক্ষা করছেন। পরে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. অমল কুমার দাস অফিসে না আসায় সকলে তাঁর বাসভবনে যান।

পরে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. অমল কুমার দাস শ্রমিকদের সাথে কথা বলতে বাসা থেকে বেড়িয়ে আসেন। এই সময় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি যোগদান করাতে গেলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। আমার চাকরিও চলে যেতে পারে। এর আগে মারামারির ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে এখানে। আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েও কোন সমাধান পাইনি। ২০১৩ সালে একই অর্ডার হলেও তখনো তারা যোগদান করতে পারেনি। এখন আমাকে চাপ দিচ্ছে।

কেউ বাধা দিচ্ছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির লোকজন বাধা দিচ্ছে। এই সময় সফিকুল নামে এক ব্যক্তির কথা বলেন তিনি। যিনি এখানকার চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক ও বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত রয়েছেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সফিকুল বলেন, এখানে দলীয় প্রভাব খাটানো হয়নি। আমরা বঞ্চিত। স্বজনপ্রীতি করে এলাকার মানুষকে নিয়োগ না দিয়ে চিলাহাটি, টেপ্রীগঞ্জের মানুষকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমরা চাই আমাদের নিয়োগ যেন দ্রুত দেয়া হয়।

স্থানীয়রা মনে করছেন, দ্রুত সমাধান না হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন সাধারণ মানুষ।