ঢাকা ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিয়ের অনুষ্ঠানে দাওয়াত খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ১৫

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:১০:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক মিরর টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাদারীপুরে বিয়ের অনুষ্ঠানে দাওয়াত খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে নারীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের খামারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

আহতরা হলেন- একই গ্রামের ওসমান হাওলাদারের ছেলে লিটন হাওলাদার (৩৫), মোকলেস হাওলাদারের স্ত্রী সাফিয়া বেগম (৬০), মোকলেছ হাওলাদারের মেয়ে আছিয়া বেগম (৪৫) ও ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৭), এছহাক হাওলাদারের স্ত্রী সাহেদা বেগম (৪০), মানিক হাওলাদারের ছেলে দেলোয়ার হাওলাদার (৪৫), মাজেদ হাওলাদারের ছেলে এরশাদ হাওলাদার (৩৮), শাহাদাৎ আলী শেখের ছেলে ইলিয়াস শেখ (৪০), দেলোয়ারের ছেলে কালাচাঁন (২২), শাহেদ আলী শেখের ছেলে সলেমান শেখ (২৫)। বাকিদের নাম তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি।

 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, খামারাবাড়ি গ্রামের মজিবর হাওলাদারের ছেলে ইতালি প্রবাসী শাহাদাৎ হাওলাদারের সঙ্গে পাশের ঘটকচর এলাকায় বিয়ে ঠিক হয়। শনিবার ছেলেপক্ষ থেকে বউ আনার প্রস্তুতিতে শুক্রবার দুপুরে এলাকার অনেককেই অগ্রিম দাওয়াত করে খাওয়ার আয়োজন করা হয়। সেখানে দাওয়াত দেওয়া হয় একই গ্রামের নুরু হাওলাদারের ছেলে কুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল হাওলাদার ও তার লোকজনদের। এতে অসম্মতি জানায় ইউপি সদস্য ও তার ঘনিষ্টজনেরা।

এ সময় দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে বৃহস্পতিবার কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার দুপুরে রফিকুলের লোকজন ব্যতীত গ্রামের অনেকেই দাওয়াত খেতে আসে। সেখানে ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে অনুষ্ঠানে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ সময় ঘরবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।

 

পরে দুই পক্ষই দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে নারীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। পরে আহতদের উদ্ধার করে ভর্তি করা জেলা সদর হাসপাতালে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

 

শাহাদাৎ হাওলাদারের আত্মীয় ডালিয়া আক্তার বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে এভাবে অতর্কিত হামলা চালাবে কেউ বুঝে উঠতে পারেনি। ইউপি মেম্বার রফিকুল ও তার লোকজন প্রথমে হামলা চালালে অনুষ্ঠান রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এই ঘটনার বিচার দাবি করছি।

 

অভিযুক্ত রফিকুলের মোবাইলে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। তবে তার পক্ষের একজন বলেন, আমরা কেউ শাহাদাতের বাড়িতে দাওয়াত খাব না। এজন্য গ্রীস প্রবাসী লিটন হাওলাদারের বাড়িতে মেম্বারের নেতৃত্বে গরু জবাই দিয়ে আলাদা খাওয়ার আয়োজন করি। আমরা খেতে বসেছি, এমন সময় শুরু হয় মারামারি। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে উভয়পক্ষের লোকজনই আহত হয়।

 

এদিকে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান। তিনি বলেন, অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়া ও খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বিয়ের অনুষ্ঠানে দাওয়াত খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ১৫

আপডেট সময় : ০৬:১০:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মাদারীপুরে বিয়ের অনুষ্ঠানে দাওয়াত খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে নারীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের খামারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

আহতরা হলেন- একই গ্রামের ওসমান হাওলাদারের ছেলে লিটন হাওলাদার (৩৫), মোকলেস হাওলাদারের স্ত্রী সাফিয়া বেগম (৬০), মোকলেছ হাওলাদারের মেয়ে আছিয়া বেগম (৪৫) ও ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৭), এছহাক হাওলাদারের স্ত্রী সাহেদা বেগম (৪০), মানিক হাওলাদারের ছেলে দেলোয়ার হাওলাদার (৪৫), মাজেদ হাওলাদারের ছেলে এরশাদ হাওলাদার (৩৮), শাহাদাৎ আলী শেখের ছেলে ইলিয়াস শেখ (৪০), দেলোয়ারের ছেলে কালাচাঁন (২২), শাহেদ আলী শেখের ছেলে সলেমান শেখ (২৫)। বাকিদের নাম তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি।

 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, খামারাবাড়ি গ্রামের মজিবর হাওলাদারের ছেলে ইতালি প্রবাসী শাহাদাৎ হাওলাদারের সঙ্গে পাশের ঘটকচর এলাকায় বিয়ে ঠিক হয়। শনিবার ছেলেপক্ষ থেকে বউ আনার প্রস্তুতিতে শুক্রবার দুপুরে এলাকার অনেককেই অগ্রিম দাওয়াত করে খাওয়ার আয়োজন করা হয়। সেখানে দাওয়াত দেওয়া হয় একই গ্রামের নুরু হাওলাদারের ছেলে কুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল হাওলাদার ও তার লোকজনদের। এতে অসম্মতি জানায় ইউপি সদস্য ও তার ঘনিষ্টজনেরা।

এ সময় দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে বৃহস্পতিবার কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার দুপুরে রফিকুলের লোকজন ব্যতীত গ্রামের অনেকেই দাওয়াত খেতে আসে। সেখানে ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে অনুষ্ঠানে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ সময় ঘরবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।

 

পরে দুই পক্ষই দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে নারীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। পরে আহতদের উদ্ধার করে ভর্তি করা জেলা সদর হাসপাতালে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

 

শাহাদাৎ হাওলাদারের আত্মীয় ডালিয়া আক্তার বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে এভাবে অতর্কিত হামলা চালাবে কেউ বুঝে উঠতে পারেনি। ইউপি মেম্বার রফিকুল ও তার লোকজন প্রথমে হামলা চালালে অনুষ্ঠান রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এই ঘটনার বিচার দাবি করছি।

 

অভিযুক্ত রফিকুলের মোবাইলে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। তবে তার পক্ষের একজন বলেন, আমরা কেউ শাহাদাতের বাড়িতে দাওয়াত খাব না। এজন্য গ্রীস প্রবাসী লিটন হাওলাদারের বাড়িতে মেম্বারের নেতৃত্বে গরু জবাই দিয়ে আলাদা খাওয়ার আয়োজন করি। আমরা খেতে বসেছি, এমন সময় শুরু হয় মারামারি। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে উভয়পক্ষের লোকজনই আহত হয়।

 

এদিকে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান। তিনি বলেন, অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়া ও খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।