ঢাকা ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাটা তরমুজ ফ্রিজে রেখে খান? কী ভুলটাই না করছেন!

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:২১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫ ৮ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহিত

দৈনিক মিরর টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইফতারে অনেকেই তরমুজ রাখেন। সারাদিন পানাহার থেকে দূরে থাকার পর তরমুজ খেলে যেন শরীর আর মন দুটোই ঠান্ডা হয়ে যায়। শরীরের জন্য উপকারি একটি ফল তরমুজ। এটি দেহের পানির অভাব পূরণে সাহায্য করে। 

বাজার থেকে বড় একটি তরমুজ কিনে আনার পর পুরোটা একেবারে খাওয়া হয়। সেক্ষেত্রে কিছুটা খেয়ে বাকিটা ফ্রিজে রেখে দেন অনেকে। তাছাড়া ফ্রিজের ঠান্ডা তরমুজ অনেকের প্রিয় খাবারের তালিকায় রয়েছে। কিন্তু এই অভ্যাসটি কি ভালো? না কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর? 

কাটা তরমুজ ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। এর নানা ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। চলুন বিস্তারিত জেনে নিই- 

 

ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি : কাটা তরমুজ ফ্রিজে রাখলে তাতে ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর আশঙ্কা থাকে, যা খাদ্য বিষক্রিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। ফ্রিজের ঠান্ডা পরিবেশে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ধীর হলেও, কাটা ফলের উন্মুক্ত পৃষ্ঠে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।

পুষ্টিগুণের হ্রাস: ফ্রিজে তরমুজ রাখলে কমে যায় এর পুষ্টিগুণ। গবেষণায় দেখা গেছে, ঘরের তাপমাত্রায় রাখা তরমুজে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের মাত্রা বেশি থাকে। ফ্রিজে রাখলে এই উপকারী উপাদানের পরিমাণ হ্রাস পায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। 

স্বাদ ও গুণগত মানের পরিবর্তন: ফ্রিজে রাখলে তরমুজের স্বাদ, রং এবং গুণগত মান পরিবর্তিত হতে পারে। ফ্রিজের ঠান্ডা পরিবেশে তরমুজের প্রাকৃতিক মিষ্টতা এবং রসালো ভাব কমে যেতে পারে। ফলে তরমুজ খেলে আসল স্বাদ পাওয়া যায় না। 

তরমুজ সংরক্ষণের সঠিক পদ্ধতি

গোটা তরমুজ সংরক্ষণ : তরমুজ গোটা অবস্থায় ঘরের তাপমাত্রায় রাখা উচিত নয়। এটি ১০ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা ভালো। এতে তরমুজের পুষ্টিগুণ ও স্বাদ বজায় থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তরমুজ কাটার ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে খাওয়া ভালো।

কাটা তরমুজ সংরক্ষণ : কাটা তরমুজ দ্রুত খাওয়া উচিত। এরপরও যদি সংরক্ষণ করতেই হয়, তবে পরিষ্কার পাত্রে ঢেকে ফ্রিজে রাখুন এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা খেয়ে ফেলুন। তবে কাটা তরমুজ ফ্রিজে না রাখাই শ্রেয়।

তরমুজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এতে প্রায় ৯০% পানি থাকে, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে। চোখের জন্যও উপকারী এই ফল। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। তরমুজের সঠিক পুষ্টি পেতে দীর্ঘক্ষণ ফ্রিজে রেখে না খাওয়াই ভালো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কাটা তরমুজ ফ্রিজে রেখে খান? কী ভুলটাই না করছেন!

আপডেট সময় : ০২:২১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

ইফতারে অনেকেই তরমুজ রাখেন। সারাদিন পানাহার থেকে দূরে থাকার পর তরমুজ খেলে যেন শরীর আর মন দুটোই ঠান্ডা হয়ে যায়। শরীরের জন্য উপকারি একটি ফল তরমুজ। এটি দেহের পানির অভাব পূরণে সাহায্য করে। 

বাজার থেকে বড় একটি তরমুজ কিনে আনার পর পুরোটা একেবারে খাওয়া হয়। সেক্ষেত্রে কিছুটা খেয়ে বাকিটা ফ্রিজে রেখে দেন অনেকে। তাছাড়া ফ্রিজের ঠান্ডা তরমুজ অনেকের প্রিয় খাবারের তালিকায় রয়েছে। কিন্তু এই অভ্যাসটি কি ভালো? না কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর? 

কাটা তরমুজ ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। এর নানা ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। চলুন বিস্তারিত জেনে নিই- 

 

ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি : কাটা তরমুজ ফ্রিজে রাখলে তাতে ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর আশঙ্কা থাকে, যা খাদ্য বিষক্রিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। ফ্রিজের ঠান্ডা পরিবেশে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ধীর হলেও, কাটা ফলের উন্মুক্ত পৃষ্ঠে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।

পুষ্টিগুণের হ্রাস: ফ্রিজে তরমুজ রাখলে কমে যায় এর পুষ্টিগুণ। গবেষণায় দেখা গেছে, ঘরের তাপমাত্রায় রাখা তরমুজে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের মাত্রা বেশি থাকে। ফ্রিজে রাখলে এই উপকারী উপাদানের পরিমাণ হ্রাস পায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। 

স্বাদ ও গুণগত মানের পরিবর্তন: ফ্রিজে রাখলে তরমুজের স্বাদ, রং এবং গুণগত মান পরিবর্তিত হতে পারে। ফ্রিজের ঠান্ডা পরিবেশে তরমুজের প্রাকৃতিক মিষ্টতা এবং রসালো ভাব কমে যেতে পারে। ফলে তরমুজ খেলে আসল স্বাদ পাওয়া যায় না। 

তরমুজ সংরক্ষণের সঠিক পদ্ধতি

গোটা তরমুজ সংরক্ষণ : তরমুজ গোটা অবস্থায় ঘরের তাপমাত্রায় রাখা উচিত নয়। এটি ১০ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা ভালো। এতে তরমুজের পুষ্টিগুণ ও স্বাদ বজায় থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তরমুজ কাটার ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে খাওয়া ভালো।

কাটা তরমুজ সংরক্ষণ : কাটা তরমুজ দ্রুত খাওয়া উচিত। এরপরও যদি সংরক্ষণ করতেই হয়, তবে পরিষ্কার পাত্রে ঢেকে ফ্রিজে রাখুন এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা খেয়ে ফেলুন। তবে কাটা তরমুজ ফ্রিজে না রাখাই শ্রেয়।

তরমুজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এতে প্রায় ৯০% পানি থাকে, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে। চোখের জন্যও উপকারী এই ফল। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। তরমুজের সঠিক পুষ্টি পেতে দীর্ঘক্ষণ ফ্রিজে রেখে না খাওয়াই ভালো।