লাইলাতুল কদরের রাতে পড়তে হয় যে দোয়া

- আপডেট সময় : ১০:৪১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫ ৫ বার পড়া হয়েছে
পবিত্র রমজান মাসে এমন একটি রাত রয়েছে; যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। রাতটি হলো লাইলাতুল কদর। লাইলাতুল কদর শব্দটি আরবি। এর অর্থ ভাগ্যরজনী। এ রাতে মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআন নাজিল করেছেন। রাতটিতে মহান আল্লাহ আগামী এক বছরের জন্য বান্দার ভাগ্য নির্ধারণ করেন।
পবিত্র কুরআনে মহান রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই আমি এটি (পবিত্র কুরআন) নাযিল করেছি লাইলাতুল কদরে। তুমি কি জানো কদরের রাত কী? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও অধিক উত্তম। এ রাতে ফেরেশতা আর রূহ তাদের রবের অনুমতিক্রমে প্রত্যেক কাজে অবতীর্ণ হয়। (এ রাতে বিরাজ করে) শান্তি আর শান্তি- ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত। (সুরা কদর, আয়াত: ১-৫)
রমজান মাসের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোর যেকোনো একটি রাতই মূলত শবে কদরের রাত। তবে বিভিন্ন হাদিস এবং আলেমদের মতে, রমজান মাসের ২৭ তারিখে শবে কদর; যা আসলে ২৬তম রোজার রাতে।
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, যখন রমজানের শেষ দশক আসতো তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার লুঙ্গি কষে নিতেন (বেশি বেশি ইবাদতের প্রস্তুতি নিতেন) এবং রাতে জেগে থাকতেন ও পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে দিতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৮৯৭)
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে এসেছে, আমি বললাম- ইয়া রাসুলাল্লাহ (সা.)! কোন রাতটি লাইলাতুল কদর, এ কথা যদি আমি জানতে পারি তবে সে রাতে কি দোয়া করব? জবাবে নবীজি বলেন, তুমি বলবে-
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন কারিমুন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি। অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি তো খুবই ক্ষমাশীল, ক্ষমা করাই তুমি ভালোবাস। সুতরাং ক্ষমা করে দাও আমাকে। (মেশকাত, হাদিস: ২০৯১; তিরমিজি, হাদিস: ৩৫১৩)