ঢাকা ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় চরম ক্ষুধা যন্ত্রণায় ধুঁকছে ১০ লাখ শিশু

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:০৪:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫ ২০ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত

দৈনিক মিরর টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইসরাইলের অবরোধের ফলে চরম ক্ষুধা যন্ত্রণায় ধুঁকছে গাজার ১০ লাখ শিশু। কারণ সেখানে বর্তমানে খাদ্য ও পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ২ মার্চের পর থেকে কোনো খাদ্যসহায়তা প্রবেশ করেনি বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের আওতাধীন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ডব্লিউএফপি।

জাতিসংঘের এই সংস্থাটি গাজার ওপর আরোপ করা পূর্ণাঙ্গ অবরোধ তুলে নিতে আবারও ইসরাইলের প্রতি আহবান জানিয়েছে।

দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার ও পানির জন্য অপেক্ষা করছে শত শত ফিলিস্তিনি। অথচ বাজারের আকাশচুম্বী দামের কারণে সাধারণ মানুষের পক্ষে কোনো কিছুই কেনা সম্ভব হচ্ছে না। টানা ১৫ দিন ধরে গাজাবাসীর জন্য কোনো ধরনের খাদ্যসহায়তা পাঠাতে পারেনি মানবিক সহায়তা দেওয়া সংস্থাগুলো।

ডব্লিউএফপি বলেছে, গাজায় ২ মার্চের পর থেকে কোনো খাবার প্রবেশ করেনি। সেখানে মানবিক সহায়তা ও বাণিজ্যিক পণ্য সরবরাহের জন্য সব কটা সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ রাখা হয়েছে।

পানীয় জল, খাবার এবং ওষুধ দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। ইউনিসেফ বলছে, লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনি শিশু বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে, তাই ইসরায়েলের জন্য গাজা অবিলম্বে খুলে দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সরবরাহ-সংকটের জেরে গাজায় নিত্যপণ্যের দাম অনেকটাই বেড়ে গেছে। কিছু প্রধান পণ্যের দাম ২০০ শতাংশের বেশি বেড়ে গেছে।

এক ফিলিস্তিনি বলেন, আমি আগে খাবারের জন্য এই সাধারণ কমিউনিটি রান্নাঘরের উপর নির্ভর করতাম, কিন্তু এখন তারাও আমাদের খাওয়ানোর জন্য লড়াই করছে।

আরেক মা বলেন, আমার বাচ্চারা ক্ষুধার জ্বালায় ঘরে কাঁদছে এবং তাদের দেওয়ার মতো আমার কিছুই নেই। আমাদের যা প্রয়োজন তা কেনার সামর্থ্য আমার নেই। বেঁচে থাকার কোনও উপায় নেই।

যেসব দাতব্য সংস্থা আগে হাজারো মানুষকে খাদ্য সরবরাহ করত, সেগুলোও এখন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কারণ উপ্ত্যকাজুড়ে রান্নার গ্যাস ও বিশুদ্ধ পানির অভাব তীব্রতর হচ্ছে।

ইউনিসেফ জানিয়েছে, সম্পূর্ণ অবরোধের কারণে গাজার হাজার হাজার মানুষ বিশুদ্ধ পানি ও ন্যূনতম স্যানিটেশনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এমন সংকটাপন্ন অবস্থায় গাজায় শিশুদের জীবন বাঁচাতে অবিলম্বে কিছু পানি ও বিদ্যুৎ প্রবেশের আহ্বান জানান দেইর আল-বালাহ থেকে ইউনিসেফের আঞ্চলিক পরিচালক ।

জাতিসংঘ কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, যদি দ্রুত সাহায্য প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া হয়, তাহলে হাসপাতালগুলো ধসে পড়বে এবং পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

গাজায় চরম ক্ষুধা যন্ত্রণায় ধুঁকছে ১০ লাখ শিশু

আপডেট সময় : ০৯:০৪:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

ইসরাইলের অবরোধের ফলে চরম ক্ষুধা যন্ত্রণায় ধুঁকছে গাজার ১০ লাখ শিশু। কারণ সেখানে বর্তমানে খাদ্য ও পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ২ মার্চের পর থেকে কোনো খাদ্যসহায়তা প্রবেশ করেনি বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের আওতাধীন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ডব্লিউএফপি।

জাতিসংঘের এই সংস্থাটি গাজার ওপর আরোপ করা পূর্ণাঙ্গ অবরোধ তুলে নিতে আবারও ইসরাইলের প্রতি আহবান জানিয়েছে।

দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার ও পানির জন্য অপেক্ষা করছে শত শত ফিলিস্তিনি। অথচ বাজারের আকাশচুম্বী দামের কারণে সাধারণ মানুষের পক্ষে কোনো কিছুই কেনা সম্ভব হচ্ছে না। টানা ১৫ দিন ধরে গাজাবাসীর জন্য কোনো ধরনের খাদ্যসহায়তা পাঠাতে পারেনি মানবিক সহায়তা দেওয়া সংস্থাগুলো।

ডব্লিউএফপি বলেছে, গাজায় ২ মার্চের পর থেকে কোনো খাবার প্রবেশ করেনি। সেখানে মানবিক সহায়তা ও বাণিজ্যিক পণ্য সরবরাহের জন্য সব কটা সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ রাখা হয়েছে।

পানীয় জল, খাবার এবং ওষুধ দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। ইউনিসেফ বলছে, লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনি শিশু বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে, তাই ইসরায়েলের জন্য গাজা অবিলম্বে খুলে দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সরবরাহ-সংকটের জেরে গাজায় নিত্যপণ্যের দাম অনেকটাই বেড়ে গেছে। কিছু প্রধান পণ্যের দাম ২০০ শতাংশের বেশি বেড়ে গেছে।

এক ফিলিস্তিনি বলেন, আমি আগে খাবারের জন্য এই সাধারণ কমিউনিটি রান্নাঘরের উপর নির্ভর করতাম, কিন্তু এখন তারাও আমাদের খাওয়ানোর জন্য লড়াই করছে।

আরেক মা বলেন, আমার বাচ্চারা ক্ষুধার জ্বালায় ঘরে কাঁদছে এবং তাদের দেওয়ার মতো আমার কিছুই নেই। আমাদের যা প্রয়োজন তা কেনার সামর্থ্য আমার নেই। বেঁচে থাকার কোনও উপায় নেই।

যেসব দাতব্য সংস্থা আগে হাজারো মানুষকে খাদ্য সরবরাহ করত, সেগুলোও এখন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কারণ উপ্ত্যকাজুড়ে রান্নার গ্যাস ও বিশুদ্ধ পানির অভাব তীব্রতর হচ্ছে।

ইউনিসেফ জানিয়েছে, সম্পূর্ণ অবরোধের কারণে গাজার হাজার হাজার মানুষ বিশুদ্ধ পানি ও ন্যূনতম স্যানিটেশনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এমন সংকটাপন্ন অবস্থায় গাজায় শিশুদের জীবন বাঁচাতে অবিলম্বে কিছু পানি ও বিদ্যুৎ প্রবেশের আহ্বান জানান দেইর আল-বালাহ থেকে ইউনিসেফের আঞ্চলিক পরিচালক ।

জাতিসংঘ কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, যদি দ্রুত সাহায্য প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া হয়, তাহলে হাসপাতালগুলো ধসে পড়বে এবং পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।