ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীকে মুক্তির দাবিতে ট্রাম্প টাওয়ারে ইহুদিদের বিক্ষোভ

- আপডেট সময় : ০৬:২০:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ ১ বার পড়া হয়েছে

ট্রাম্প টাওয়ারের ভেতরে বৃহস্পতিবার জড়ো হওয়া মানবাধিকার সংগঠনের বিক্ষোভকারীদের আটক করে পুলিশ। ছবি : এএফপি
ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী খলিল মাহমুদকে আটকের ঘটনায় নিন্দা এবং তার মুক্তির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটনে ট্রাম্প টাওয়ারের ভেতরে বিক্ষোভ করেছেন এক দল ইহুদি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ‘জিউস ভয়েস ফর পিস’ নামের একটি ইহুদিপন্থি মানবাধিকার সংগঠন এই বিক্ষোভ করেছে। এ সময় সেখান থেকে অন্তত ১০০ জনকে আটক করে পুলিশ। সিএনএনের খবর।
বিক্ষোভের সময় ‘মাহমুদ খলিলকে মুক্ত করো’ স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। তাদের পরনে থাকা লাল টি-শার্টে লেখা ছিল, ‘ইহুদিরা বলছে, ইসরায়েলকে অস্ত্র দেওয়া বন্ধ করুন’। বিক্ষোভকারীদের প্রদর্শিত বিভিন্ন ব্যানারে লেখা ছিল—‘আর কখনো নয়, কারও জন্য নয়’, ‘ইহুদিরা বলে, মেনে নেবে না’, এবং ‘একজনের জন্য এলে, আমাদের সবার মুখোমুখি হতে হবে’ ইত্যাদি।
গাজা যুদ্ধের সময় নিউইয়র্কের বিশ্ববিখ্যাত কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মাহমুদ খলিল। বিক্ষোভ করার অভিযোগে শনিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফিলিস্তিনপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে খলিলকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন।
নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগ (এনওয়াইপিডি) জানিয়েছে, প্রায় তিন শতাধিক বিক্ষোভকারীর মধ্যে ৯৮ জনকে আটক কর হয়। তবে কোনো আহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
জিউস ভয়েস ফর পিসের মুখপাত্র সোনিয়া মেয়ারসন-নক্স জানান, তারা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী খলিলের আটকের প্রতিবাদে ৩০০ জনের একটি দল নিয়ে ট্রাম্প টাওয়ারের ভিতরে বিক্ষোভ করেন।
মেয়ারসন-নক্স বলেন, ‘পূর্বপুরুষদের শিক্ষা মেনে আমি এখানে এসেছি। কারণ আমি জেনেছি, কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা যখন মানুষকে দায়ী করতে শুরু করে তখন কী ঘটে। যদি আমরা আজ কথা না বলি, তাহলে আর কখনও কথা বলতে পারব না।’
শনিবার নিউইয়র্কে আটকের পর লুইসিয়ানায় অভিবাসন হেফাজতে রাখা হয় খলিলকে। এই ঘটনায় ডেমোক্র্যাটিক আইন প্রণেতারাসহ অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত এবং নাগরিক স্বাধীনতার সমর্থকরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এদিকে গত সোমবার (১০ মার্চ) নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘যদি আপনি সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করেন, তাহলে আপনার উপস্থিতি আমাদের জাতীয় ও পররাষ্ট্রনীতির স্বার্থের পরিপন্থি। তাই আপনাকে এখানে (যুক্তরাষ্ট্রে) স্বাগত জানানো হবে না।’