ঢাকা ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজেএসে নন-ক্যাডার পদ চালুর দাবি

বার কাউন্সিল পরীক্ষার ফি কমানোর দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

আরাফাত চৌধুুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:০৮:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫ ৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক মিরর টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট ও বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষার ফি কমানো এবং বিজেএসে নন-ক্যাডার পদের চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

 

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, “আইন পেশায় প্রবেশের ক্ষেত্রে অযৌক্তিক অর্থনৈতিক বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে, যা দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বৈষম্যমূলক।

 

স্বৈরাচারী আমলে নির্ধারিত ফি এখনো বহাল রয়েছে, যা বর্তমান সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার স্বার্থে বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট ও বিজেএস পরীক্ষার ফি অবশ্যই কমাতে হবে। অন্যথায়, আমরা পরীক্ষা বর্জনের মতো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।”

 

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, বার কাউন্সিল এনরোলমেন্ট পরীক্ষার প্রায় সাড়ে ৪ হাজার টাকা এবং বিজেএস পরীক্ষার ১ হাজার ২০০ টাকা ‘ফি’ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল নয় এমন অনেক শিক্ষার্থী টিউশনি ও পার্টটাইম চাকরির মাধ্যমে পড়াশোনার খরচ চালান।

 

এ ধরনের ‘উচ্চ ফি’ তাদের জন্য বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। যা আইন পেশায় প্রবেশের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া, বিজেএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের জন্য বিসিএস পরীক্ষার মতো নন-ক্যাডার পদের সুযোগ চালুর দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

 

আইন অনুষদের শিক্ষার্থী মোশতাক আহমেদ সন্তু বলেন,বিজেএস পরীক্ষার ফি অন্যান্য সরকারি চাকরির পরীক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সর্বোচ্চ ২০০ টাকার মধ্যে আনতে হবে। পাশাপাশি, অন্যান্য চাকরির পরীক্ষার মতো বিজেএসের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর প্রকাশ করতে হবে।

 

এছাড়া, নন-ক্যাডার পদের মাধ্যমে সাব-রেজিস্ট্রার, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য আইনি সংস্থায় নিয়োগের সুযোগ তৈরি করতে হবে।”

 

আইন অনুষদের আরেক শিক্ষার্থী নিপা রাণী বলেন, “আমাদের অনেক শিক্ষার্থী টিউশন বা পার্ট-টাইম চাকরির মাধ্যমে নিজেদের খরচ চালান। সাড়ে চার হাজার টাকা ফি দিয়ে পরীক্ষা দেওয়া আমাদের জন্য কঠিন। এই বৈষম্যমূলক ফি দ্রুত কমিয়ে ২০০ টাকার মধ্যে আনতে হবে।”

 

আরেক শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, “বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট পরীক্ষার ফি প্রায় সাড়ে চার হাজার টাকা, আর বিজেএস পরীক্ষার ফি ১,২০০ টাকা—যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

 

অনেক শিক্ষার্থী টিউশন বা পার্ট-টাইম চাকরির মাধ্যমে পড়াশোনা চালিয়ে যান। এই উচ্চ ফি তাদের জন্য বিশাল চাপ সৃষ্টি করে। আমরা ফি কমানোর জন্য লাগাতার আন্দোলন করতে বাধ্য হবো, প্রয়োজনে বার কাউন্সিল ঘেরাও করব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বিজেএসে নন-ক্যাডার পদ চালুর দাবি

বার কাউন্সিল পরীক্ষার ফি কমানোর দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

আপডেট সময় : ১০:০৮:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট ও বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষার ফি কমানো এবং বিজেএসে নন-ক্যাডার পদের চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

 

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, “আইন পেশায় প্রবেশের ক্ষেত্রে অযৌক্তিক অর্থনৈতিক বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে, যা দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বৈষম্যমূলক।

 

স্বৈরাচারী আমলে নির্ধারিত ফি এখনো বহাল রয়েছে, যা বর্তমান সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার স্বার্থে বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট ও বিজেএস পরীক্ষার ফি অবশ্যই কমাতে হবে। অন্যথায়, আমরা পরীক্ষা বর্জনের মতো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।”

 

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, বার কাউন্সিল এনরোলমেন্ট পরীক্ষার প্রায় সাড়ে ৪ হাজার টাকা এবং বিজেএস পরীক্ষার ১ হাজার ২০০ টাকা ‘ফি’ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল নয় এমন অনেক শিক্ষার্থী টিউশনি ও পার্টটাইম চাকরির মাধ্যমে পড়াশোনার খরচ চালান।

 

এ ধরনের ‘উচ্চ ফি’ তাদের জন্য বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। যা আইন পেশায় প্রবেশের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া, বিজেএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের জন্য বিসিএস পরীক্ষার মতো নন-ক্যাডার পদের সুযোগ চালুর দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

 

আইন অনুষদের শিক্ষার্থী মোশতাক আহমেদ সন্তু বলেন,বিজেএস পরীক্ষার ফি অন্যান্য সরকারি চাকরির পরীক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সর্বোচ্চ ২০০ টাকার মধ্যে আনতে হবে। পাশাপাশি, অন্যান্য চাকরির পরীক্ষার মতো বিজেএসের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর প্রকাশ করতে হবে।

 

এছাড়া, নন-ক্যাডার পদের মাধ্যমে সাব-রেজিস্ট্রার, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য আইনি সংস্থায় নিয়োগের সুযোগ তৈরি করতে হবে।”

 

আইন অনুষদের আরেক শিক্ষার্থী নিপা রাণী বলেন, “আমাদের অনেক শিক্ষার্থী টিউশন বা পার্ট-টাইম চাকরির মাধ্যমে নিজেদের খরচ চালান। সাড়ে চার হাজার টাকা ফি দিয়ে পরীক্ষা দেওয়া আমাদের জন্য কঠিন। এই বৈষম্যমূলক ফি দ্রুত কমিয়ে ২০০ টাকার মধ্যে আনতে হবে।”

 

আরেক শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, “বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট পরীক্ষার ফি প্রায় সাড়ে চার হাজার টাকা, আর বিজেএস পরীক্ষার ফি ১,২০০ টাকা—যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

 

অনেক শিক্ষার্থী টিউশন বা পার্ট-টাইম চাকরির মাধ্যমে পড়াশোনা চালিয়ে যান। এই উচ্চ ফি তাদের জন্য বিশাল চাপ সৃষ্টি করে। আমরা ফি কমানোর জন্য লাগাতার আন্দোলন করতে বাধ্য হবো, প্রয়োজনে বার কাউন্সিল ঘেরাও করব।