ঢাকা ০২:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেরোবির সাবেক দুই উপাচার্যসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৩২:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫ ২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক মিরর টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পে প্রায় ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সাবেক উপাচার্যসহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

 

আজ বুধবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে একসব তথ্য দেয় দুদক।

 

অভিযুক্তরা হলেন-তৎকালীন উপাচার্য ও প্রকল্প পরিচালক এ কে এম নূর-উন-নবী (৭২), সাবেক উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ (৬৪), তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম (৫৩), ঠিকাদার ও প্রোপ্রাইটর মো. আ. সালাম বাচ্চু (৬৬), এম এম হাবিবুর রহমান (৬৮)।

 

দুদকের অভিযোগ অনুযায়ী, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপি উপেক্ষা করে নকশা পরিবর্তন, অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারণ, পিপিআর ২০০৮ লঙ্ঘন করে দ্বিতীয় পরামর্শক নিয়োগ, নিরাপত্তা জামানত এফডিআর লিয়েনে রেখে ব্যাংক ঋণ অনুমোদন এবং সরকারি অনুমোদন ছাড়াই ৩০ কোটির বেশি মূল্যের চুক্তি সম্পাদন করেন।

 

সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ হল, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ব্যবহার করে ঠিকাদারকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার নামে ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

 

এছাড়া, অগ্রিম বিলের কোনো বিধান না থাকা সত্ত্বেও ঠিকাদারকে অগ্রিম অর্থ প্রদান এবং তাঁর বিপরীতে গ্যারান্টি ছাড়াও বিল ছাড় করার অভিযোগ রয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা ও দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ ধারা অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বেরোবির সাবেক দুই উপাচার্যসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আপডেট সময় : ০২:৩২:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পে প্রায় ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সাবেক উপাচার্যসহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

 

আজ বুধবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে একসব তথ্য দেয় দুদক।

 

অভিযুক্তরা হলেন-তৎকালীন উপাচার্য ও প্রকল্প পরিচালক এ কে এম নূর-উন-নবী (৭২), সাবেক উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ (৬৪), তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম (৫৩), ঠিকাদার ও প্রোপ্রাইটর মো. আ. সালাম বাচ্চু (৬৬), এম এম হাবিবুর রহমান (৬৮)।

 

দুদকের অভিযোগ অনুযায়ী, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপি উপেক্ষা করে নকশা পরিবর্তন, অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারণ, পিপিআর ২০০৮ লঙ্ঘন করে দ্বিতীয় পরামর্শক নিয়োগ, নিরাপত্তা জামানত এফডিআর লিয়েনে রেখে ব্যাংক ঋণ অনুমোদন এবং সরকারি অনুমোদন ছাড়াই ৩০ কোটির বেশি মূল্যের চুক্তি সম্পাদন করেন।

 

সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ হল, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ব্যবহার করে ঠিকাদারকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার নামে ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

 

এছাড়া, অগ্রিম বিলের কোনো বিধান না থাকা সত্ত্বেও ঠিকাদারকে অগ্রিম অর্থ প্রদান এবং তাঁর বিপরীতে গ্যারান্টি ছাড়াও বিল ছাড় করার অভিযোগ রয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা ও দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ ধারা অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়েছে।