সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান দেওয়ায় চাকরি হারালেন ইমাম

- আপডেট সময় : ১০:৪২:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫ ৯৯ বার পড়া হয়েছে
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে একটি মসজিদে সুদ-ঘুষ ও জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে বয়ান দেওয়ায় চাকরি হারাতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এক মসজিদের ইমাম। ওই ইমামের নাম হাফেজ মো. হামিদুল ইসলাম। সম্প্রতি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চিকনী সরকার পাড়া জামে মসজিদে জুমার নামাজের আগে বয়ান দেওয়ার সময় তাকে লাঞ্ছিত করা হয় বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান শুভ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় বছর চারেক আগে সাদুল্লাপুর উপজেলার চিকনী সরকার পাড়া জামে মসজিদে ইমামতির দায়িত্ব পান উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের চাঁদ করিম গ্রামের মজমল মিয়ার ছেলে হাফেজ মো. হামিদুল ইসলাম। গত বছরের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে বয়ান দেওয়ায় তাকে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ আখ্যায়িত করে প্রকাশ্যে গালাগালি করেন মসজিদটির কিছু দায়িত্বশীল ব্যক্তি। এরপর কিছুদিন আগে সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে মসজিদে বয়ান দেন ইমাম হাফেজ মো. হামিদুল ইসলাম। এতেও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন কতিপয় মুসল্লি। তখন থেকে ওই ইমামকে সরানোর জন্য বিভিন্ন অপকৌশল চালানো হয়।
এ বিষয়ে হাফেজ মো. হামিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, চার বছর আগে সাদুল্লাপুর উপজেলার চিকনী সরকার পাড়া জামে মসজিদে ইমাম হিসেবে যোগদান করি। এরই ধারাবাহিকতায় মুসল্লিদের উদ্দেশে জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে বয়ান দেওয়ায় আমাকে রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান দেওয়ায় আমার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তারা। মসজিদটির দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের এমন আচরণের কারণে আমি ইমামতি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছি।
এ দিকে চিকনী সরকার পাড়া জামে মসজিদ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ছামছুল সরকার বিদ্যুৎ বলেন, আমাদের ইমাম হাফেজ মো. হামিদুল ইসলামকে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে গালি দেওয়ার ঘটনাটি সত্য। ইমামের সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ানকে কেন্দ্র করে আর কোনো ঝামেলা না বাড়ানোই ভালো।
জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান শুভ বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা আমাকে অবগত করেনি। লোকমুখে শুনেছি। ঘটনাটি খুবই খারাপ হয়েছে। নিন্দা জানানোরও ভাষা নেই আমার।