ঢাকা ০৬:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিয়মিত জামাতে নামাজ পড়ে পুরস্কার পেলেন ৫৪ শিশু-কিশোর

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৩৩:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫ ৩১ বার পড়া হয়েছে

নিয়মিত নামাজ আদায় করা শিশু-কিশোরদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।

দৈনিক মিরর টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ আদায় করায় পাবনার ভাঙ্গুড়ায় পুরস্কার পেলেন ৫৪ শিশু-কিশোর। এতে করে মাদক ও অপরাধমুক্ত সমাজ গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেন আয়োজকরা।

সোমবার (১৬ জুন) পাবনা সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন কর্তৃক আয়োজিত উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের চড়পাড়া ঈদগা মাঠ চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়মিত সালাত আদায়কারী ওই শিশু-কিশোরদের মাঝে বাইসাইকেলসহ বিভিন্ন পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, পাবনা সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সমাজ হতে মাদক ও অপরাধ দূর করতে কোমলমতি শিশু-কিশোরদের (৫ থেকে ২০ বছর বয়সী) ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে ৪০ দিন নিয়মিত সালাত আদায়কারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের ঘোষণা দেয় এই সংগঠনটি। এতে সাড়া দিয়ে পার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের চরপাড়া জামে মসজিদে ৫৪ শিশু-কিশোর অংশগ্রহণ করেন।

দীর্ঘ ৪০ দিন নিয়মিত সালাত আদায়কারী শিশু-কিশোরদের মধ্যে চারটি বাইসাইকেল, স্কুলব্যাগ, ছাতা ও হাতঘড়ি পুরস্কার হিসেবে বিতরণ করা হয়। রোববার সংগঠনটির আয়োজনে চরপাড়া ঈদগাহ ময়দান চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. নাজমুন নাহার আনুষ্ঠানিকভাবে শিশু-কিশোরদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাবনা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের সভাপতি মো. রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. আব্দুল করিম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির উপদেষ্টা ওমর ফারুক, রাবেয়া মনোয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মোসাম্মৎ সাবিহা ইয়াসমিন অনু, দিয়ারপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মনিরুজ্জামানসহ শিশু-কিশোরদের অভিভাবকরা।

এর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, নামাজ যাবতীয় অন্যায় ও খারাপ কাজ থেকে মানুষকে দূরে রাখে। কোমলমতি শিশু-কিশোররা একটানা ৪০ দিন যাবত সালাত আদায় করলে তারা খারাপ পথে যেতে পারবে না। এতে সমাজে অন্যায় ও অপরাধ অনেকাংশ কমে আসবে। পাশাপাশি প্রত্যেকটি পরিবারকে তাদের সন্তানদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানানো হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নিয়মিত জামাতে নামাজ পড়ে পুরস্কার পেলেন ৫৪ শিশু-কিশোর

আপডেট সময় : ১২:৩৩:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ আদায় করায় পাবনার ভাঙ্গুড়ায় পুরস্কার পেলেন ৫৪ শিশু-কিশোর। এতে করে মাদক ও অপরাধমুক্ত সমাজ গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেন আয়োজকরা।

সোমবার (১৬ জুন) পাবনা সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন কর্তৃক আয়োজিত উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের চড়পাড়া ঈদগা মাঠ চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়মিত সালাত আদায়কারী ওই শিশু-কিশোরদের মাঝে বাইসাইকেলসহ বিভিন্ন পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, পাবনা সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সমাজ হতে মাদক ও অপরাধ দূর করতে কোমলমতি শিশু-কিশোরদের (৫ থেকে ২০ বছর বয়সী) ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে ৪০ দিন নিয়মিত সালাত আদায়কারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের ঘোষণা দেয় এই সংগঠনটি। এতে সাড়া দিয়ে পার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের চরপাড়া জামে মসজিদে ৫৪ শিশু-কিশোর অংশগ্রহণ করেন।

দীর্ঘ ৪০ দিন নিয়মিত সালাত আদায়কারী শিশু-কিশোরদের মধ্যে চারটি বাইসাইকেল, স্কুলব্যাগ, ছাতা ও হাতঘড়ি পুরস্কার হিসেবে বিতরণ করা হয়। রোববার সংগঠনটির আয়োজনে চরপাড়া ঈদগাহ ময়দান চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. নাজমুন নাহার আনুষ্ঠানিকভাবে শিশু-কিশোরদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাবনা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের সভাপতি মো. রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. আব্দুল করিম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির উপদেষ্টা ওমর ফারুক, রাবেয়া মনোয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মোসাম্মৎ সাবিহা ইয়াসমিন অনু, দিয়ারপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মনিরুজ্জামানসহ শিশু-কিশোরদের অভিভাবকরা।

এর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, নামাজ যাবতীয় অন্যায় ও খারাপ কাজ থেকে মানুষকে দূরে রাখে। কোমলমতি শিশু-কিশোররা একটানা ৪০ দিন যাবত সালাত আদায় করলে তারা খারাপ পথে যেতে পারবে না। এতে সমাজে অন্যায় ও অপরাধ অনেকাংশ কমে আসবে। পাশাপাশি প্রত্যেকটি পরিবারকে তাদের সন্তানদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানানো হয়।