ঢাকা ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ

শিক্ষকদের অসতর্কতায় রসায়ন বিভাগের সব পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৪:১৬:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ ৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক মিরর টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২ সালের মাস্টার্স শেষ পর্বের ফল প্রকাশিত হয়েছে ৪ জুন। এতে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৯০ জন পরীক্ষার্থীর সবাই অকৃতকার্য হয়েছেন।

 

ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল বোর্ডে পাঠানোর সময় কারিগরি ত্রুটির কারণে এমন হয়েছে দাবি করে দুঃখ প্রকাশ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিষয়টিকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতা উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২ সালের মাস্টার্স শেষ পর্বের পরীক্ষা শুরু হয় চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি। দুটি গ্রুপে ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয় ১৮, ১৯, ২০ ও ২১ এপ্রিল। এরপর ৪ জুন পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হলে তাতে দেখা যায় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের পরীর্ক্ষাথীরা সবাই অকৃতকার্য হয়েছেন। শিক্ষার্থীরা বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানতে পারেন তাঁদের ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার ফল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে না পাঠানোর কারণে সবাই অকৃতকার্য হয়েছেন।

 

অকৃতকার্য হওয়া রসায়ন বিভাগের পরীক্ষার্থী তাসকিন আহমেদ বলেন, ফলাফল প্রকাশের পর তাঁরা সবাই ভেঙে পড়েন। এরপর বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা হলে জানতে পারেন কারিগরি ত্রুটির কারণে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর কলেজ থেকে বোর্ডে না যাওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

তবে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ ঘটনাকে শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতা বলছেন। জহিরুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘অবশ্যই এখানে স্যারদের একটা গাফিলতি রয়েছে। স্যারদের অবশ্যই দায় স্বীকার করতে হবে।’

আসিফ মাহমুদ নামে রসায়ন বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সার্ভার ডাউন থাকার কারণে ফাইলটা সেন্ড হয়নি বলে স্যাররা আমাদের জানিয়েছেন।’

 

এ বিষয়ে দায় স্বীকার করে রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের অসতকর্তার কারণেই ভুল হয়েছে। রেজাল্ট অনলাইনে সাবমিট করা হয়েছিল। কিন্তু সার্ভার ডাউন থাকার কারণে সাবমিট হয়নি। রি-চেক না করার কারণে বিষয়টি নজরে আসেনি। অনলাইনে সাবমিট না হওয়ার কারণে ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে ম্যানুয়ালি রেজাল্ট শিট পাঠানো হয়েছে। আমাদের এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যাটি সমাধান হয়ে যাবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় আশ্বস্ত করেছে।’

 

ঘটনাটি দুঃখজনক উল্লেখ করে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ রুহুল আমীন জানান, বিষয়টি জানার পরই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযাগ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, বিষয়টি দ্রুতই নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলা থাকলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ

শিক্ষকদের অসতর্কতায় রসায়ন বিভাগের সব পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য

আপডেট সময় : ০৪:১৬:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২ সালের মাস্টার্স শেষ পর্বের ফল প্রকাশিত হয়েছে ৪ জুন। এতে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৯০ জন পরীক্ষার্থীর সবাই অকৃতকার্য হয়েছেন।

 

ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল বোর্ডে পাঠানোর সময় কারিগরি ত্রুটির কারণে এমন হয়েছে দাবি করে দুঃখ প্রকাশ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিষয়টিকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতা উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২ সালের মাস্টার্স শেষ পর্বের পরীক্ষা শুরু হয় চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি। দুটি গ্রুপে ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয় ১৮, ১৯, ২০ ও ২১ এপ্রিল। এরপর ৪ জুন পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হলে তাতে দেখা যায় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের পরীর্ক্ষাথীরা সবাই অকৃতকার্য হয়েছেন। শিক্ষার্থীরা বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানতে পারেন তাঁদের ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার ফল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে না পাঠানোর কারণে সবাই অকৃতকার্য হয়েছেন।

 

অকৃতকার্য হওয়া রসায়ন বিভাগের পরীক্ষার্থী তাসকিন আহমেদ বলেন, ফলাফল প্রকাশের পর তাঁরা সবাই ভেঙে পড়েন। এরপর বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা হলে জানতে পারেন কারিগরি ত্রুটির কারণে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর কলেজ থেকে বোর্ডে না যাওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

তবে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ ঘটনাকে শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতা বলছেন। জহিরুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘অবশ্যই এখানে স্যারদের একটা গাফিলতি রয়েছে। স্যারদের অবশ্যই দায় স্বীকার করতে হবে।’

আসিফ মাহমুদ নামে রসায়ন বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সার্ভার ডাউন থাকার কারণে ফাইলটা সেন্ড হয়নি বলে স্যাররা আমাদের জানিয়েছেন।’

 

এ বিষয়ে দায় স্বীকার করে রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের অসতকর্তার কারণেই ভুল হয়েছে। রেজাল্ট অনলাইনে সাবমিট করা হয়েছিল। কিন্তু সার্ভার ডাউন থাকার কারণে সাবমিট হয়নি। রি-চেক না করার কারণে বিষয়টি নজরে আসেনি। অনলাইনে সাবমিট না হওয়ার কারণে ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে ম্যানুয়ালি রেজাল্ট শিট পাঠানো হয়েছে। আমাদের এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যাটি সমাধান হয়ে যাবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় আশ্বস্ত করেছে।’

 

ঘটনাটি দুঃখজনক উল্লেখ করে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ রুহুল আমীন জানান, বিষয়টি জানার পরই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযাগ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, বিষয়টি দ্রুতই নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলা থাকলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।