সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে মোবাইল ফোন কেনার টাকা না পাওয়ায় স্বামীর নির্যাতনে আয়েশা খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের আড়ংগাছা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামী হাফিজুর রহমান (২৫) ও তার বড় ভাই হাবিবুর রহমানকে (৩২) আটক করেছে।

নিহত আয়েশা খাতুন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামের আক্তার মল্লিকের মেয়ে এবং কালিগঞ্জ উপজেলার আড়ংগাছা গ্রামের হাফিজুর রহমানের স্ত্রী। তাদের সংসারে ১৪ মাস বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

নিহতের মা আমেনা খাতুন জানান, প্রায় তিন বছর আগে আয়েশার বিয়ে হয় হাফিজুরের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে হাফিজুর তার স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি থেকে ৪ হাজার টাকা এনে দিতে বলেন মোবাইল কেনার জন্য। আয়েশা ফোনে মায়ের কাছে টাকা চাইলেও মা অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হাফিজুর তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হত্যার হুমকি দিতে থাকে।

পরে রাত সোয়া ২টার দিকে হাফিজুর ফোন করে জানান, আয়েশা ওড়না পেঁচিয়ে আড়ার সঙ্গে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে ভোর ৫টার দিকে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে আমেনা খাতুন মেয়ের মৃতদেহ খাটের ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় তার শরীরে একাধিক রক্তাক্ত আঘাতের চিহ্ন ছিল। 

স্থানীয়দের মাধ্যমে পুলিশে খবর দিলে কালিগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক রাজিব সরদারের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে এবং হাফিজুর ও তার ভাই হাবিবুরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

নিহতের মা আমেনা খাতুন হাফিজুরসহ আরও ৩-৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন

কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।