ঢাকা ০৯:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধের দাবি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৮:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫ ২০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক মিরর টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গত বছরের জুলাই-আগস্টে গণহত্যায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অন্তর্ভুক্ত বাকি ১৩ দল ও জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। 

 

রোববার (১১ মে) নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে এ দাবি জানান দলটির উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।

 

তিনি লেখেন, আওয়ামী লীগের জোট সঙ্গী ১৪ দল ও জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ এবং জি এম কাদেরসহ জাপার শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের দাবি গণঅধিকার পরিষদের।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে শনিবার (১০ মে) রাতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গণহত্যায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী কার্যদিবসে প্রজ্ঞাপন জারি হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

 

এর মধ্যে রোববার সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত ব্যক্তি বা সংগঠনের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ খসড়া অনুমোদন করা হয়।

 

বৈঠকের সারসংক্ষেপে বলা হয়, সন্ত্রাস প্রতিরোধ এবং তাদের কার্যকর শাস্তির বিধানসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ প্রণয়ন করা হয়। এ আইনের উদ্দেশ্য পূরণে কোনো ব্যক্তি বা সত্তা সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলে যুক্তিসঙ্গত কারণের ভিত্তিতে সরকারি গেজেট দ্বারা ওই ব্যক্তিকে তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে পারে বা সত্তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে পারে।

তবে বর্তমান আইনে কোনো সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে কোনো বিধান নেই। বিষয়টি স্পষ্ট করাসহ বিধান সংযোজন আবশ্যক হওয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনকে সময়োপযোগী করে আইনের অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজন বলে সভায় জানানো হয়। এ প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, প্রয়োজনীয় অভিযোজন করা এবং অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধের দাবি

আপডেট সময় : ০৯:৪৮:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

গত বছরের জুলাই-আগস্টে গণহত্যায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অন্তর্ভুক্ত বাকি ১৩ দল ও জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। 

 

রোববার (১১ মে) নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে এ দাবি জানান দলটির উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।

 

তিনি লেখেন, আওয়ামী লীগের জোট সঙ্গী ১৪ দল ও জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ এবং জি এম কাদেরসহ জাপার শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের দাবি গণঅধিকার পরিষদের।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে শনিবার (১০ মে) রাতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গণহত্যায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী কার্যদিবসে প্রজ্ঞাপন জারি হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

 

এর মধ্যে রোববার সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত ব্যক্তি বা সংগঠনের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ খসড়া অনুমোদন করা হয়।

 

বৈঠকের সারসংক্ষেপে বলা হয়, সন্ত্রাস প্রতিরোধ এবং তাদের কার্যকর শাস্তির বিধানসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ প্রণয়ন করা হয়। এ আইনের উদ্দেশ্য পূরণে কোনো ব্যক্তি বা সত্তা সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলে যুক্তিসঙ্গত কারণের ভিত্তিতে সরকারি গেজেট দ্বারা ওই ব্যক্তিকে তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে পারে বা সত্তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে পারে।

তবে বর্তমান আইনে কোনো সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে কোনো বিধান নেই। বিষয়টি স্পষ্ট করাসহ বিধান সংযোজন আবশ্যক হওয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনকে সময়োপযোগী করে আইনের অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজন বলে সভায় জানানো হয়। এ প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, প্রয়োজনীয় অভিযোজন করা এবং অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়।