নোবিপ্রবিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন ও খাবারের ব্যবস্থা করল ছাত্রদল

- আপডেট সময় : ০১:৪৬:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫ ২৭ বার পড়া হয়েছে
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিচ্ছু সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর জন্য রাতে থাকা ও খাবারের ব্যবস্থা করেছে ছাত্রদল। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিনের উদ্যোগে জেলা ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিট এ আয়োজন করেন।
ছাত্রদলের একাধিক নেতা জানান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা গুচ্ছ পদ্দতিতে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবে। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ভর্তিচ্ছুদের মধ্যে শুধু নোয়াখালীর বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রায় ৯ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিবে। যার মধ্যে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা শহর মাইজদীর নোয়াখালী সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং জিলা স্কুলে কেন্দ্র রয়েছে।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবকরাও আসবেন। তাই যাতে করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কোনো প্রকার সমস্যা না হয় সেজন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বে নানা আয়োজন করা হয়েছে। তারা জানান, যারা আগের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (৮ মে) জেলায় এসেছে তাদের মধ্যে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মিলিয়ে এক হাজারের জন্য থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছেলে এবং মেয়েদের জন্য আলাদাভাবে নোয়াখালী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের জন্য সেখানে রান্নারও আয়োজন করা হয়েছে।
এ ছাড়া শুক্রবার পরীক্ষার দিন ৫০ জনের একটি টিম থাকবে সোনাপুর জিরো পয়েন্টে। সেখানে যাতে করে কোনো প্রকার যানজট সৃষ্টি না হয়। একই সাথে প্রত্যেকটি কেন্দ্রের পার্শ্বে হেল্প ডেক্স স্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাগ ও মোবাইল সংরক্ষণ, তথ্য প্রদান, পানি বিতরণ, মোটরসাইকেলযোগে শিক্ষার্থীদের নিরাপদে বিভিন্ন কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন রকি ও সদর উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জিয়াউর রহমান রায়হান জানান, এরআগে ১ম ও ২য় ধাপের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীনও শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য এসব আয়োজন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিনের নির্দেশে ও তাঁর সার্বিক সহযোগিতা এসব আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার(৮ মে) সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হওয়া এ কর্মযজ্ঞ চলবে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত।