ঢাকা ০৩:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জে বজ্রাঘাতে স্কুলছাত্রীসহ ৪ জনের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৫৬:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫ ১৭ বার পড়া হয়েছে

প্রতীকী ছবি

দৈনিক মিরর টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া ও মিঠামইনে বজ্রাঘাতে তিন স্কুলছাত্রীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে উপজেলার চরটেকী এলাকায় ও মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের চমকপুর দক্ষিণ হাটি গ্রামে বজ্রাঘাতে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। 

 

নিহতরা হলেন- উপজেলার চরটেকী গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে ইরিনা আক্তার (১৫), একই গ্রামের বাদল মিয়ার মেয়ে প্রিয়া আক্তার (১৫) ও একই গ্রামের বোরহান উদ্দিনের মেয়ে বর্ষা (১৫)। তারা সবাই চরটেকী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। 

অপরদিকে কৃষক কডু মিয়া (৩৫) মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের চমকপুর দক্ষিণ হাটি গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ঝড়সহ বৃষ্টি শুরু হয়। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে চরটেকী নামাপাড়ায় ঝড়বৃষ্টির কবলে পড়ে তিন স্কুল শিক্ষার্থী। এসময় ঝড়ের সঙ্গে বজ্রাঘাত হলে গুরুতর আহত হন ওই তিনজন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে দ্রুত পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইরিনা ও প্রিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর দিকে বর্ষাকে শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

অপরদিকে মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের চমকপুর দক্ষিণ হাটি গ্রামে বাড়ির সামনে কডু মিয়া একটি খোলা মাঠে ধান শুকাতে দেন। হঠাৎ করে ঝড়বৃষ্টির কবলে পড়েন পরে শুকাতে দেয়া ধান জমাতে যান এ সময় বজ্রাঘাতে গুরুতর আহত হন কডু মিয়া। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

 

মিঠামইনার থানার এসআই অর্পন বিশ্বাস কৃষক কডু মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন জানান, হাসপাতালে গিয়ে পরিবারের খোঁজখবর নেয়া হয় এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাফন-কাফনের জন্য আর্থিক সহযোগিতার দেয়া হয়েছে।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বজ্রাঘাতে তিন স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কিশোরগঞ্জে বজ্রাঘাতে স্কুলছাত্রীসহ ৪ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় : ১২:৫৬:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া ও মিঠামইনে বজ্রাঘাতে তিন স্কুলছাত্রীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে উপজেলার চরটেকী এলাকায় ও মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের চমকপুর দক্ষিণ হাটি গ্রামে বজ্রাঘাতে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। 

 

নিহতরা হলেন- উপজেলার চরটেকী গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে ইরিনা আক্তার (১৫), একই গ্রামের বাদল মিয়ার মেয়ে প্রিয়া আক্তার (১৫) ও একই গ্রামের বোরহান উদ্দিনের মেয়ে বর্ষা (১৫)। তারা সবাই চরটেকী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। 

অপরদিকে কৃষক কডু মিয়া (৩৫) মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের চমকপুর দক্ষিণ হাটি গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ঝড়সহ বৃষ্টি শুরু হয়। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে চরটেকী নামাপাড়ায় ঝড়বৃষ্টির কবলে পড়ে তিন স্কুল শিক্ষার্থী। এসময় ঝড়ের সঙ্গে বজ্রাঘাত হলে গুরুতর আহত হন ওই তিনজন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে দ্রুত পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইরিনা ও প্রিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর দিকে বর্ষাকে শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

অপরদিকে মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের চমকপুর দক্ষিণ হাটি গ্রামে বাড়ির সামনে কডু মিয়া একটি খোলা মাঠে ধান শুকাতে দেন। হঠাৎ করে ঝড়বৃষ্টির কবলে পড়েন পরে শুকাতে দেয়া ধান জমাতে যান এ সময় বজ্রাঘাতে গুরুতর আহত হন কডু মিয়া। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

 

মিঠামইনার থানার এসআই অর্পন বিশ্বাস কৃষক কডু মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন জানান, হাসপাতালে গিয়ে পরিবারের খোঁজখবর নেয়া হয় এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাফন-কাফনের জন্য আর্থিক সহযোগিতার দেয়া হয়েছে।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বজ্রাঘাতে তিন স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।