ঢাকা ০৫:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তুরিন আফরোজের ডক্টরেট ডিগ্রি ভুয়া

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫ ১৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক মিরর টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের ডক্টরেট ডিগ্রি ভুয়া বলে জানিয়েছে সিডনির ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া এমন তথ্য সংবলিত চিঠি আপিল বিভাগে উপস্থাপন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

 

রোববার (৪ মে) আপিল বিভাগে বাড়ি সংক্রান্ত মামলায় এ তথ্য দাখিল করা হয়।

 

ওই চিঠিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে তুরিন আফরোজের নামে পিএইচডি ডিগ্রির কোনো রেকর্ড নেই। এমনকি এই নামে কেউ কখনো শিক্ষার্থীও ছিলেন না। অর্থাৎ পিএইচডি সম্পন্ন না করেই ডক্টরেট ডিগ্রি ব্যবহার করতেন তুরিন আফরোজ।

 

এর আগে, ১৩ মার্চ আপিল বিভাগে বাড়ি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর থাকতে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। তিনি পরাক্রমশালী ছিলেন। নিজের মাকেও বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন।

 

গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর উত্তরায় পাঁচতলা বাড়িতে তুরিনের মা শামসুন্নাহার বেগম ও তুরিন আফরোজের ভাই শিশির আহমেদ শাহনেওয়াজ আহমেদের থাকা নিয়ে বিচারিক আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশ বাতিল করে দেন হাইকোর্ট। ফলে ওই বাড়িতে তাদের বসবাসে আর কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন বিচারপতি মো. সেলিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ।

 

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, আইনজীবী বিএম ইলিয়াস কচি, ব্যারিস্টার মনজুর রাব্বী, ব্যারিস্টার আতিকুল হক। তুরিন আফরোজের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ সাইফুল করিম।

 

২০২৩ সালের ২ এপ্রিল উত্তরায় ওই বাড়ি ভোগদখলের ক্ষেত্রে স্থিতাবস্থার আদেশ কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ। পরবর্তীতে আদালত পরিবর্তিত হয়ে মামলাটি বিচারপতি মো. সেলিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চে আসে। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ১৯ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মো. সেলিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল যথাযথ ঘোষণা করে স্থিতাবস্থা বাতিল করে রায় দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তুরিন আফরোজের ডক্টরেট ডিগ্রি ভুয়া

আপডেট সময় : ০৫:৪৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের ডক্টরেট ডিগ্রি ভুয়া বলে জানিয়েছে সিডনির ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া এমন তথ্য সংবলিত চিঠি আপিল বিভাগে উপস্থাপন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

 

রোববার (৪ মে) আপিল বিভাগে বাড়ি সংক্রান্ত মামলায় এ তথ্য দাখিল করা হয়।

 

ওই চিঠিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে তুরিন আফরোজের নামে পিএইচডি ডিগ্রির কোনো রেকর্ড নেই। এমনকি এই নামে কেউ কখনো শিক্ষার্থীও ছিলেন না। অর্থাৎ পিএইচডি সম্পন্ন না করেই ডক্টরেট ডিগ্রি ব্যবহার করতেন তুরিন আফরোজ।

 

এর আগে, ১৩ মার্চ আপিল বিভাগে বাড়ি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর থাকতে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। তিনি পরাক্রমশালী ছিলেন। নিজের মাকেও বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন।

 

গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর উত্তরায় পাঁচতলা বাড়িতে তুরিনের মা শামসুন্নাহার বেগম ও তুরিন আফরোজের ভাই শিশির আহমেদ শাহনেওয়াজ আহমেদের থাকা নিয়ে বিচারিক আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশ বাতিল করে দেন হাইকোর্ট। ফলে ওই বাড়িতে তাদের বসবাসে আর কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন বিচারপতি মো. সেলিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ।

 

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, আইনজীবী বিএম ইলিয়াস কচি, ব্যারিস্টার মনজুর রাব্বী, ব্যারিস্টার আতিকুল হক। তুরিন আফরোজের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ সাইফুল করিম।

 

২০২৩ সালের ২ এপ্রিল উত্তরায় ওই বাড়ি ভোগদখলের ক্ষেত্রে স্থিতাবস্থার আদেশ কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ। পরবর্তীতে আদালত পরিবর্তিত হয়ে মামলাটি বিচারপতি মো. সেলিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চে আসে। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ১৯ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মো. সেলিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল যথাযথ ঘোষণা করে স্থিতাবস্থা বাতিল করে রায় দেন।