ঢাকা ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশে মৃত ভোটার ছাড়ালো ২৩ লাখ, নতুন যুক্ত ৬৩ লাখ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:০৭:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক মিরর টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চলমান বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমে তালিকা থেকে ২৩ লাখের বেশি মৃত ভোটার কর্তন করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তালিকায় নতুন করে যোগ করতে নেওয়া হয়েছে ৬৩ লাখের বেশি নাগরিকের তথ্য। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

 

সম্প্রতি মাঠ পর্যায় থেকে পাঠানো তথ্য একীভূত করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তৈরি করা প্রতিবেদন থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের পরিচালক মো. আব্দুল মমিন সরকারের স্বাক্ষর করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত মোট ৬৩ লাখ ১৭ হাজার ৬০০ জনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছে ২৯ লাখ ৬১ হাজার ৫৭ জন, নারী ভোটার রয়েছে ৩৩ লাখ ৫৬ হাজার ২৫০ জন এবং হিজড়া ভোটার রয়েছে ২৯৪ জন। তাদের মধ্যে ছবি তুলে ও আঙুলের ছাপ দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন ৬১ লাখ ৭৬ হাজার ৮৩৮ জন। এছাড়া মারা যাওয়ায় ২৩ লাখ ২৭ হাজার ১১৭ জনকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। যার মধ্যে পুরুষ মৃত ভোটার বাদ যাবে ১৪ লাখ ৪ হাজার ৭২ জন, নারী মৃত ভোটার বাদ যাবে ৯ লাখ ২২ হাজার ৭৮১ জন এবং হিজড়া মৃত ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে ৩২৬ জন।

 

ইসি কর্মকর্তারা জানান, নিবন্ধন কার্যক্রম গত ২০ এপ্রিল পর্যন্ত চলমান ছিল। এই সময়ের মধ্যে যারা বাদ পড়েছেন তারা অনলাইনে তথ্য পূরণ করে নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে ভোটার হয়েছেন। পরবর্তীতে আর সময় বৃদ্ধি করা হবে কিনা তা এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত দেশের ৫২২টি থানা/উপজেলার নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে। তবে হালনাগাদের কার্যক্রম শেষে এ সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে ছয়বার। ২০০৯-২০১০ সাল, ২০১২-২০১৩ সাল, ২০১৫-২০১৬ সাল, ২০১৭-২০১৮ সাল, ২০১৯-২০২০ ও ২০২২-২০২৩ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করে ইসি।

 

ভোটার তালিকা হালনাগাদে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য কিছু কাগজপত্র তথ্য সংগ্রহকারীদের দিতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে— ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদের কপি, জাতীয়তা/নাগরিকত্ব সনদের কপি, নিকট আত্মীয়ের এনআইডি’র ফটোকপি (পিতা-মাতা, ভাই-বোন প্রভৃতি)।

 

এছাড়া রয়েছে— এসএসসি/দাখিল/সমমান, অষ্টম শ্রেণি পাসের সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি/চৌকিদারি রশিদের ফটোকপি)।

 

ভোটার হওয়ার সময় কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছে ইসি— নিজের নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদের সঙ্গে হুবহু মিলিয়ে লিখতে হবে; জন্ম তারিখ অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদ অনুযায়ী হতে হবে।

 

স্থায়ী ঠিকানা লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভোটারের প্রকৃত স্থায়ী ঠিকানা লিখতে হবে; কোনো অবস্থাতেই দ্বৈত বা দুইবার ভোটার হওয়া যাবে না।

 

সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়াল ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ চলমান রয়েছে। এতে আরও প্রায় ৬০ লাখের বেশি ভোটার আগামী জুনে তালিকায় যুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে ইসি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

দেশে মৃত ভোটার ছাড়ালো ২৩ লাখ, নতুন যুক্ত ৬৩ লাখ

আপডেট সময় : ০২:০৭:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

চলমান বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমে তালিকা থেকে ২৩ লাখের বেশি মৃত ভোটার কর্তন করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তালিকায় নতুন করে যোগ করতে নেওয়া হয়েছে ৬৩ লাখের বেশি নাগরিকের তথ্য। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

 

সম্প্রতি মাঠ পর্যায় থেকে পাঠানো তথ্য একীভূত করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তৈরি করা প্রতিবেদন থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের পরিচালক মো. আব্দুল মমিন সরকারের স্বাক্ষর করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত মোট ৬৩ লাখ ১৭ হাজার ৬০০ জনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছে ২৯ লাখ ৬১ হাজার ৫৭ জন, নারী ভোটার রয়েছে ৩৩ লাখ ৫৬ হাজার ২৫০ জন এবং হিজড়া ভোটার রয়েছে ২৯৪ জন। তাদের মধ্যে ছবি তুলে ও আঙুলের ছাপ দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন ৬১ লাখ ৭৬ হাজার ৮৩৮ জন। এছাড়া মারা যাওয়ায় ২৩ লাখ ২৭ হাজার ১১৭ জনকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। যার মধ্যে পুরুষ মৃত ভোটার বাদ যাবে ১৪ লাখ ৪ হাজার ৭২ জন, নারী মৃত ভোটার বাদ যাবে ৯ লাখ ২২ হাজার ৭৮১ জন এবং হিজড়া মৃত ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে ৩২৬ জন।

 

ইসি কর্মকর্তারা জানান, নিবন্ধন কার্যক্রম গত ২০ এপ্রিল পর্যন্ত চলমান ছিল। এই সময়ের মধ্যে যারা বাদ পড়েছেন তারা অনলাইনে তথ্য পূরণ করে নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে ভোটার হয়েছেন। পরবর্তীতে আর সময় বৃদ্ধি করা হবে কিনা তা এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত দেশের ৫২২টি থানা/উপজেলার নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে। তবে হালনাগাদের কার্যক্রম শেষে এ সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে ছয়বার। ২০০৯-২০১০ সাল, ২০১২-২০১৩ সাল, ২০১৫-২০১৬ সাল, ২০১৭-২০১৮ সাল, ২০১৯-২০২০ ও ২০২২-২০২৩ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করে ইসি।

 

ভোটার তালিকা হালনাগাদে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য কিছু কাগজপত্র তথ্য সংগ্রহকারীদের দিতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে— ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদের কপি, জাতীয়তা/নাগরিকত্ব সনদের কপি, নিকট আত্মীয়ের এনআইডি’র ফটোকপি (পিতা-মাতা, ভাই-বোন প্রভৃতি)।

 

এছাড়া রয়েছে— এসএসসি/দাখিল/সমমান, অষ্টম শ্রেণি পাসের সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি/চৌকিদারি রশিদের ফটোকপি)।

 

ভোটার হওয়ার সময় কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছে ইসি— নিজের নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদের সঙ্গে হুবহু মিলিয়ে লিখতে হবে; জন্ম তারিখ অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদ অনুযায়ী হতে হবে।

 

স্থায়ী ঠিকানা লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভোটারের প্রকৃত স্থায়ী ঠিকানা লিখতে হবে; কোনো অবস্থাতেই দ্বৈত বা দুইবার ভোটার হওয়া যাবে না।

 

সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়াল ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ চলমান রয়েছে। এতে আরও প্রায় ৬০ লাখের বেশি ভোটার আগামী জুনে তালিকায় যুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে ইসি।