ঢাকা ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বামীকে হত্যার অভিযোগ, পরকীয়া প্রেমিকসহ স্ত্রী গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৪২:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৫ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ আলী হত্যায় স্ত্রী জয়তুন ও তার প্রেমিক তোফাজ্জল মিয়া গ্রেপ্তার।

দৈনিক মিরর টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকার ধামরাইয়ে অটোরিকশাচালক মোহাম্মদ আলী হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী জয়তুন ও তার পরকীয়া প্রেমিক তোফাজ্জল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের দেপাশাই এলাকা থেকে প্রথমে তোফাজ্জল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নিহতের স্ত্রী জয়তুনকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

 

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ধামরাই থানায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ঢাকা জেলা (সাভার) সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. শাহিনুর কবির।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ধামরাই থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বিপুল হোসেন।

 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উপজেলার দেপাশাই গ্রামের উত্তর আশ্রয়ণ প্রকল্প কেন্দ্রে বসবাসরত নিতহ মোহাম্মদ আলীর (৪০) স্ত্রী জয়তুন একই এলাকার তোফাজ্জল মিয়ার সঙ্গে পরকীয়া করে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। তাদের দু’জনের ঘরে সন্তানও রয়েছে।

 

স্ত্রী জয়তুন তার প্রেমিক তোফাজ্জল মিয়াকে নিয়ে স্বামী মোহাম্মদ আলীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। গত সাপ্তাহের রোববার সকালের দিকে অটোরিকশাসহ চালক মোহাম্মদ আলীকে ডেকে নিয়ে যান তার স্ত্রীর প্রেমিক তোফাজ্জল মিয়া।

 

পরে উপজেলা পরিষদের নির্মাণাধীণ একটি ভবনের চারতলার বাথরুমে নিয়ে স্ত্রী জয়তুন ও তোফাজ্জল মিয়া মোহাম্মদ আলীকে ইট দিয়ে মাথা থেতলে আহত করেন। একপর্যায়ে ধারাল চাকু দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে হত্যার পর দু’জনেই পালিয়ে যান।

 

উপজেলা পরিষদ চত্বরে নির্মাণাধীন ভবনের ৪র্থ তলায় মরদেহ পড়ে থাকার সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই দিনই সন্ধ্যার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ, র‍্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা।

 

ঘটনার ৪ দিন পর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দেপাশাই এলাকা থেকে জয়তুনের প্রেমিক তোফাজ্জল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

পরে তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নিহতের স্ত্রী জয়তুনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারাল চাকুও উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার প্রেমিক যুগলকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

স্বামীকে হত্যার অভিযোগ, পরকীয়া প্রেমিকসহ স্ত্রী গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০২:৪২:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

ঢাকার ধামরাইয়ে অটোরিকশাচালক মোহাম্মদ আলী হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী জয়তুন ও তার পরকীয়া প্রেমিক তোফাজ্জল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের দেপাশাই এলাকা থেকে প্রথমে তোফাজ্জল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নিহতের স্ত্রী জয়তুনকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

 

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ধামরাই থানায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ঢাকা জেলা (সাভার) সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. শাহিনুর কবির।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ধামরাই থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বিপুল হোসেন।

 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উপজেলার দেপাশাই গ্রামের উত্তর আশ্রয়ণ প্রকল্প কেন্দ্রে বসবাসরত নিতহ মোহাম্মদ আলীর (৪০) স্ত্রী জয়তুন একই এলাকার তোফাজ্জল মিয়ার সঙ্গে পরকীয়া করে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। তাদের দু’জনের ঘরে সন্তানও রয়েছে।

 

স্ত্রী জয়তুন তার প্রেমিক তোফাজ্জল মিয়াকে নিয়ে স্বামী মোহাম্মদ আলীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। গত সাপ্তাহের রোববার সকালের দিকে অটোরিকশাসহ চালক মোহাম্মদ আলীকে ডেকে নিয়ে যান তার স্ত্রীর প্রেমিক তোফাজ্জল মিয়া।

 

পরে উপজেলা পরিষদের নির্মাণাধীণ একটি ভবনের চারতলার বাথরুমে নিয়ে স্ত্রী জয়তুন ও তোফাজ্জল মিয়া মোহাম্মদ আলীকে ইট দিয়ে মাথা থেতলে আহত করেন। একপর্যায়ে ধারাল চাকু দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে হত্যার পর দু’জনেই পালিয়ে যান।

 

উপজেলা পরিষদ চত্বরে নির্মাণাধীন ভবনের ৪র্থ তলায় মরদেহ পড়ে থাকার সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই দিনই সন্ধ্যার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ, র‍্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা।

 

ঘটনার ৪ দিন পর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দেপাশাই এলাকা থেকে জয়তুনের প্রেমিক তোফাজ্জল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

পরে তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নিহতের স্ত্রী জয়তুনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারাল চাকুও উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার প্রেমিক যুগলকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।