কুষ্টিয়ায় তামাক কারখানার সামনে ২২ দফা দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

- আপডেট সময় : ০৫:৫৩:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ২৫ বার পড়া হয়েছে
ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের (বিএটিবি) একদল শ্রমিক ২২ দফা দাবি আদায়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের চৌড়হাস মোড় এলাকায় কারখানাটির প্রধান ফটকের সামনে এই কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
শ্রমিকদের ভাষ্য, বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী, ২০১২ সাল থেকে কোম্পানির পাওনা মুনাফা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, নিয়োগপত্রসহ ২২ দফা দাবি পূরণ করতে হবে। এ জন্য তাঁরা আন্দোলন করছেন। এই দাবি মানা না হলে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কারখানার সামনে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক সংলগ্ন কারখানাটির সামনে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেন শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁদের হাতে দাবি আদায়ের ব্যানারসহ বিভিন্ন ধরনের ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ছিল। ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে তাঁরা কারখানার প্রধান ফটক ও আশপাশের এলাকা প্রদক্ষিণ করেন। তাঁরা ‘শ্রম দিলাম, টাকা কই’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’–সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।
শ্রমিকেরা সাংবাদিকদের বলেন, বিএটিবির মৌসুমি শ্রমিকেরা তাঁদের ২২ দফা দাবি আদায়ে অনেক আগে থেকে আন্দোলন করে আসছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ এপ্রিল শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।
শ্রমিকেরা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবছর তাঁদের দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে এভাবে তাঁদের সঙ্গে বছরের পর বছর প্রতারণা করে যাচ্ছেন কোম্পানির কর্মকর্তারা। বিএটিবি বিদেশি ভালো কোম্পানি হলেও কুষ্টিয়ায় কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের কারণে এখানে শ্রমিকদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী নয় বলে কর্মকর্তারা তাঁদের ইচ্ছেমতো চাকরি থেকে বের করে দেন।
এ বিষয়ে বুধবার রাতে বিএটিবি কুষ্টিয়া কারখানার প্লান্ট ম্যানেজার মুকিত আহমেদ চৌধুরীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অফিশিয়ালি তিনি কোনো বক্তব্য দিতে পারেন না। তিনি আরেক কর্মকর্তার মুঠোফোন নম্বর দিয়ে যোগাযোগ করতে বলেন।
বিএটিবির এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন ম্যানেজার আবু সালমান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে বক্তব্য দেবেন তিনি।