ঢাকা ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা যেন বিনোদপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী’

মুনান হাওলাদার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
  • আপডেট সময় : ১২:৩৬:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫ ২১২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক মিরর টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হলে সিট বন্টনে অসঙ্গতি, আসন্ন ফিস্ট মিলে বৈষম্যমূলক আচরন ও খাবারের মান বৃদ্ধিসহ শতভাগ আবাসিকতা কার্যকর করার দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মানববন্ধন করেছে শিক্ষা ও শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদ। 

 

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল)  বিকাল সাড়ে ৪টায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে তারা। মানববন্ধনে  রাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব আল শাহরিয়ার শুভ বলেন,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে শিক্ষার্থীদের যে প্রত্যাশা ছিল তা পূরণ করতে অনেকাংশে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন।

 

এই প্রশাসন জোড়া তালি দিয়ে চলছে বলে আমি মনে করি।সম্প্রতি আমরা লক্ষ্য করেছি যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য যে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য সেখানে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের কোনাে সুযোগ নেই। 

 

অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা যেন বিনোদপুরের শিক্ষার্থী। এখানে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য যে বৈষম্য আমরা লক্ষ্য করছি তার দ্রুত সমাধান করতে হবে। আমরা আরো চাই প্রশাসন আজকের মধ্যেই তাদের এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবে এবং সকল শিক্ষার্থীদের কে নিয়ে এই খাবারের আয়োজন করবে অন্যথায় এটির প্রয়োজন আমরা দেখছি না।

 

  রাবি ছাত্র অধিকার পরিষদ এর আহ্বায়ক মেহেদী মারুফ বলেন,হলে যে খাবার দেওয়া হচ্ছে, সেই খাবার খেয়ে কোনো শিক্ষার্থী সুস্থ থাকতে পারে না এই অব্যবস্থার বিরুদ্ধে আমরা আজ প্যারিস রোডে দাঁড়িয়েছি। আমরা অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে কখনও কল্পনাও করিনি, হলের খাবারের মান উন্নয়নের দাবিতে আমাদের রাস্তায় নামতে হবে।

 

এটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতারই বহিঃপ্রকাশ।আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই হলের সিট বণ্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষিত নীতিমালা অনুযায়ীই করতে হবে।

 

প্রভোস্ট কাউন্সিলের বিষয়টিও আমরা উল্লেখ করতে চাই। যখন কোনো প্রভোস্ট ভুল করেন, তখন অন্যরা তাকে পেছন থেকে সমর্থন দেন, ফলে প্রকৃত সমস্যা চিহ্নিত হয়ে প্রতিকার হয় না। যেসব শিক্ষার্থী অনাবাসিক, তারা প্রায়ই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব হলো তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

 

তিনি আরও বলেন, ২৮ এপ্রিল হলগুলোতে আয়োজিত ফিস্ট শুধুমাত্র আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে এটি আমরা বিপ্লব পরবর্তী সময়ে কল্পনাও করিনি। ফিস্ট হোক সবার জন্য। আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্য নয়, চাই সুষম বণ্টন। উল্লেখ্য,  এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

‘অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা যেন বিনোদপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী’

আপডেট সময় : ১২:৩৬:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

হলে সিট বন্টনে অসঙ্গতি, আসন্ন ফিস্ট মিলে বৈষম্যমূলক আচরন ও খাবারের মান বৃদ্ধিসহ শতভাগ আবাসিকতা কার্যকর করার দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মানববন্ধন করেছে শিক্ষা ও শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদ। 

 

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল)  বিকাল সাড়ে ৪টায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে তারা। মানববন্ধনে  রাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব আল শাহরিয়ার শুভ বলেন,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে শিক্ষার্থীদের যে প্রত্যাশা ছিল তা পূরণ করতে অনেকাংশে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন।

 

এই প্রশাসন জোড়া তালি দিয়ে চলছে বলে আমি মনে করি।সম্প্রতি আমরা লক্ষ্য করেছি যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য যে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য সেখানে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের কোনাে সুযোগ নেই। 

 

অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা যেন বিনোদপুরের শিক্ষার্থী। এখানে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য যে বৈষম্য আমরা লক্ষ্য করছি তার দ্রুত সমাধান করতে হবে। আমরা আরো চাই প্রশাসন আজকের মধ্যেই তাদের এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবে এবং সকল শিক্ষার্থীদের কে নিয়ে এই খাবারের আয়োজন করবে অন্যথায় এটির প্রয়োজন আমরা দেখছি না।

 

  রাবি ছাত্র অধিকার পরিষদ এর আহ্বায়ক মেহেদী মারুফ বলেন,হলে যে খাবার দেওয়া হচ্ছে, সেই খাবার খেয়ে কোনো শিক্ষার্থী সুস্থ থাকতে পারে না এই অব্যবস্থার বিরুদ্ধে আমরা আজ প্যারিস রোডে দাঁড়িয়েছি। আমরা অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে কখনও কল্পনাও করিনি, হলের খাবারের মান উন্নয়নের দাবিতে আমাদের রাস্তায় নামতে হবে।

 

এটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতারই বহিঃপ্রকাশ।আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই হলের সিট বণ্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষিত নীতিমালা অনুযায়ীই করতে হবে।

 

প্রভোস্ট কাউন্সিলের বিষয়টিও আমরা উল্লেখ করতে চাই। যখন কোনো প্রভোস্ট ভুল করেন, তখন অন্যরা তাকে পেছন থেকে সমর্থন দেন, ফলে প্রকৃত সমস্যা চিহ্নিত হয়ে প্রতিকার হয় না। যেসব শিক্ষার্থী অনাবাসিক, তারা প্রায়ই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব হলো তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

 

তিনি আরও বলেন, ২৮ এপ্রিল হলগুলোতে আয়োজিত ফিস্ট শুধুমাত্র আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে এটি আমরা বিপ্লব পরবর্তী সময়ে কল্পনাও করিনি। ফিস্ট হোক সবার জন্য। আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্য নয়, চাই সুষম বণ্টন। উল্লেখ্য,  এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।