ঢাকা ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্ষেত্রবিশেষ মাতৃত্বকালীন ছুটি চারবার পর্যন্ত, পিতৃত্বকালীন ছুটির সুপারিশ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৩৫:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ ১২ বার পড়া হয়েছে

সংগৃহিত ছবি

দৈনিক মিরর টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ক্ষেত্রবিশেষ মাতৃত্বকালীন ছুটি চারবার পর্যন্ত মঞ্জুর করার সুপারিশ করেছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। বাংলাদেশ সরকারি চাকরিবিধি (পার্ট-১) অনুসারে, বর্তমানে একজন কর্মজীবী নারী দুটি সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে পূর্ণকালীন বেতনসহ ছুটি পান।

 

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

 

প্রতিবেদনে ৪৩৩টি সুপারিশ তৈরি করা হয়েছে তিন ধাপে—অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে করণীয়, পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের মেয়াদে করণীয় এবং দীর্ঘ নারী আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্নের ভিত্তিতে।

 

‘সর্বক্ষেত্রে সর্বস্তরে নারীর প্রতি বৈষম্য বিলুপ্তি এবং নারী-পুরুষের সমতা অর্জনের পথে পদক্ষেপ চিহ্নিতকরণ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে ‘পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের মেয়াদে করণীয়’ হিসেবে বলা হয়েছে, সরকারি, বেসরকারি ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে বিশেষ ক্ষেত্রে যেমন মৃত সন্তান প্রসব, সন্তানের মৃত্যু বা দ্বিতীয় বিয়েতে সন্তানের ক্ষেত্রে নারীদের জন্য প্রসূতিকালীন ছুটি চারবার পর্যন্ত শিথিল করা এবং দত্তক সন্তানের জন্যও ছুটির বিধান রাখতে হবে। পিতৃত্বকালীন ছুটির জন্য পূর্ণকালীন বেতনসহ দুই সপ্তাহের ছুটি ব্যবস্থা রেখে আইন প্রণয়ন করার সুপারিশ করা হয়েছে।

 

অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৪ সালের নভেম্বরে নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিরীন পারভীন হককে প্রধান করে ১০ সদস্যের নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করে।

 

কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের জ্যেষ্ঠ ফেলো মাহীন সুলতান, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফৌজিয়া করিম ফিরোজ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কল্পনা আক্তার, নারী স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ হালিদা হানুম আখতার, বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান, নারীপক্ষের পরিচালক কামরুন নাহার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ সামাজিক উন্নয়ন উপদেষ্টা ফেরদৌসী সুলতানা ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নিশিতা জামান নিহা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ক্ষেত্রবিশেষ মাতৃত্বকালীন ছুটি চারবার পর্যন্ত, পিতৃত্বকালীন ছুটির সুপারিশ

আপডেট সময় : ০১:৩৫:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

ক্ষেত্রবিশেষ মাতৃত্বকালীন ছুটি চারবার পর্যন্ত মঞ্জুর করার সুপারিশ করেছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। বাংলাদেশ সরকারি চাকরিবিধি (পার্ট-১) অনুসারে, বর্তমানে একজন কর্মজীবী নারী দুটি সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে পূর্ণকালীন বেতনসহ ছুটি পান।

 

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

 

প্রতিবেদনে ৪৩৩টি সুপারিশ তৈরি করা হয়েছে তিন ধাপে—অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে করণীয়, পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের মেয়াদে করণীয় এবং দীর্ঘ নারী আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্নের ভিত্তিতে।

 

‘সর্বক্ষেত্রে সর্বস্তরে নারীর প্রতি বৈষম্য বিলুপ্তি এবং নারী-পুরুষের সমতা অর্জনের পথে পদক্ষেপ চিহ্নিতকরণ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে ‘পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের মেয়াদে করণীয়’ হিসেবে বলা হয়েছে, সরকারি, বেসরকারি ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে বিশেষ ক্ষেত্রে যেমন মৃত সন্তান প্রসব, সন্তানের মৃত্যু বা দ্বিতীয় বিয়েতে সন্তানের ক্ষেত্রে নারীদের জন্য প্রসূতিকালীন ছুটি চারবার পর্যন্ত শিথিল করা এবং দত্তক সন্তানের জন্যও ছুটির বিধান রাখতে হবে। পিতৃত্বকালীন ছুটির জন্য পূর্ণকালীন বেতনসহ দুই সপ্তাহের ছুটি ব্যবস্থা রেখে আইন প্রণয়ন করার সুপারিশ করা হয়েছে।

 

অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৪ সালের নভেম্বরে নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিরীন পারভীন হককে প্রধান করে ১০ সদস্যের নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করে।

 

কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের জ্যেষ্ঠ ফেলো মাহীন সুলতান, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফৌজিয়া করিম ফিরোজ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কল্পনা আক্তার, নারী স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ হালিদা হানুম আখতার, বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান, নারীপক্ষের পরিচালক কামরুন নাহার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ সামাজিক উন্নয়ন উপদেষ্টা ফেরদৌসী সুলতানা ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নিশিতা জামান নিহা।