ঢাকা ০৭:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২৬ বছর পর মামলার রায়

গাদু হত্যা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন, ১০ জন খালাস

সাকিব আল হাসান নাহিদ জামালপুর
  • আপডেট সময় : ০২:১৬:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক মিরর টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জামালপুরে ২৬ বছর পর রফিকুল ইসলাম গাদু হত্যা মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বাকি ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়।

 

বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২-এর বিচারক মো. আবু বকর সিদ্দিক এই রায় ঘোষণা করেন।

 

রায়ে আসামি লেবু মিয়া ও মজনু মিয়াকে হত্যা ও অপহরণে জড়িত থাকার দায়ে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং মরদেহ গুমের ঘটনায় সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া তাদেরকে আর্থিক জরিমানাও করা হয়।

 

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ. কে . এম নাজমুল হুদা জানান- ১৯৯৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর রাতে জামালপুর সদরের হাসিল গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম গাদু নিজের বাড়ির পাশের পুকুর পাহারা দিতে গিয়ে আর ফিরে আসেননি। রাত পার হলেও তার কোনো খোঁজ না পেয়ে পরদিন সকালে স্ত্রী লাইলী বেগম খোঁজ করতে গিয়ে দেখতে পান, পুকুর পাড়ের ছাপরা ঘরের বিছানা এলোমেলো, ঘরের ভেতরে ধস্তাধস্তির চিহ্ন রয়েছে এবং একটি গামছা পড়ে আছে।

 

পরে সেটি স্থানীয় লেবু মিয়ার বলে শনাক্ত করেন প্রতিবেশীরা। নিখোঁজের পাঁচদিন পর ১৯৯৮ সালের ২৮ ডিসেম্বরে এক প্রতিবেশীর বাড়ির টয়লেটের ট্যাংকির ভেতর থেকে পুলিশ গাদুর মরদেহ উদ্ধার করে। তার গলায় একটি মাফলার প্যাঁচানো ছিল। পরবর্তীতে মাফলারটি মজনু মিয়ার বলে শনাক্ত করা হয়।

 

ঘটনার পরদিন নিহতের স্ত্রী লাইলী বেগম জামালপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। শুরুতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হলেও পুলিশ তদন্ত শেষে ২০০০ সালের ৬ জুন লেবু মিয়াসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

 

মামলায় মোট ১৯ জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এই রায় দেন বিচারক। রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি। রায় ঘোষণার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। দীর্ঘ ২৬ বছর পর এই রায়ে সন্তুষ্টি জানিয়েছে বাদী পক্ষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

২৬ বছর পর মামলার রায়

গাদু হত্যা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন, ১০ জন খালাস

আপডেট সময় : ০২:১৬:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

জামালপুরে ২৬ বছর পর রফিকুল ইসলাম গাদু হত্যা মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বাকি ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়।

 

বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২-এর বিচারক মো. আবু বকর সিদ্দিক এই রায় ঘোষণা করেন।

 

রায়ে আসামি লেবু মিয়া ও মজনু মিয়াকে হত্যা ও অপহরণে জড়িত থাকার দায়ে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং মরদেহ গুমের ঘটনায় সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া তাদেরকে আর্থিক জরিমানাও করা হয়।

 

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ. কে . এম নাজমুল হুদা জানান- ১৯৯৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর রাতে জামালপুর সদরের হাসিল গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম গাদু নিজের বাড়ির পাশের পুকুর পাহারা দিতে গিয়ে আর ফিরে আসেননি। রাত পার হলেও তার কোনো খোঁজ না পেয়ে পরদিন সকালে স্ত্রী লাইলী বেগম খোঁজ করতে গিয়ে দেখতে পান, পুকুর পাড়ের ছাপরা ঘরের বিছানা এলোমেলো, ঘরের ভেতরে ধস্তাধস্তির চিহ্ন রয়েছে এবং একটি গামছা পড়ে আছে।

 

পরে সেটি স্থানীয় লেবু মিয়ার বলে শনাক্ত করেন প্রতিবেশীরা। নিখোঁজের পাঁচদিন পর ১৯৯৮ সালের ২৮ ডিসেম্বরে এক প্রতিবেশীর বাড়ির টয়লেটের ট্যাংকির ভেতর থেকে পুলিশ গাদুর মরদেহ উদ্ধার করে। তার গলায় একটি মাফলার প্যাঁচানো ছিল। পরবর্তীতে মাফলারটি মজনু মিয়ার বলে শনাক্ত করা হয়।

 

ঘটনার পরদিন নিহতের স্ত্রী লাইলী বেগম জামালপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। শুরুতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হলেও পুলিশ তদন্ত শেষে ২০০০ সালের ৬ জুন লেবু মিয়াসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

 

মামলায় মোট ১৯ জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এই রায় দেন বিচারক। রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি। রায় ঘোষণার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। দীর্ঘ ২৬ বছর পর এই রায়ে সন্তুষ্টি জানিয়েছে বাদী পক্ষ।