ঢাকা ০২:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোপা দেল রে’র ফাইনালে বার্সেলোনা, প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৩২:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৭ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহিত -

দৈনিক মিরর টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রথম লেগে রোমাঞ্চকর এক লড়াই উপহার দিয়েছিল বার্সেলোনা ও অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। তবে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে খুব একটা জমেনি লড়াই। ফেররান তোরেসের কল্যাণে প্রথম আধা ঘন্টায় পাওয়া গোল বাকি সময়ে আগলে রাখল বার্সেলোনা। তাতে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে তিন মৌসুম পর কোপা দেল রের ফাইনালে উঠল কাতালান দলটি।

বুধবার (২ এপ্রিল) রাতে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদকে ১-০ গোলে হারিয়েছে হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ ব্যবধানের জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বার্সা। আগামী ২৬ এপ্রিলের শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ। ২০১৪ সালের পর এই প্রথম স্পেনের দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে দেখা যাবে এল-ক্লাসিকো মহারণ।

 

গত ফেব্রুয়ারিতে শেষ চারের প্রথম লেগে শুরুর ৬ মিনিটের মধ্যে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে ৮৩ মিনিট পর্যন্ত ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা; কিন্তু শেষ দিকে দুই গোল খেয়ে জয় হাতছাড়া করে তারা, ৪-৪ ড্র। অবশ্য গত মাসে লা লিগার ম্যাচে অ্যাতলেটিকোর মাঠে ৭১ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে ৪-২ ব্যবধানে জেতে ফ্লিকের দল।

 

ঘরের মাঠ ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় এদিন সমর্থকদের হতাশ করেছে অ্যাতলেটিকো। পুরো ম্যাচে ৬টি শট নিলেও তাদের একটি শটও ছিল না লক্ষ্য বরাবর। বিপরীতে ৫৭ শতাংশ সময় বল দখলে রাখা বার্সা ১৫টি শট নিয়ে ৫টি গোলমুখে রেখেছিল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বার্সেলোনার অপরাজেয় যাত্রা পৌঁছে গেল টানা ২১ ম্যাচে। লা লিগার শীর্ষে থাকা দলটি এই বছরে এখনও কোনো ম্যাচ হারেনি।

 

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে শুরু থেকে জমে ওঠে লড়াই। বল দখলে অবশ্য যথারীতি আধিপত্য করে বার্সেলোনা। কিন্তু কয়েকটি ‘হাফ চান্স’ তৈরি করলেও কাজে লাগাতে পারেনি কাতালানরা। লামিনে ইয়ামাল ও জুল কুন্দের শট লক্ষ্যে থাকেনি। একের পর এক চেষ্টার পর ম্যাচের ২৭তম মিনিটে বার্সাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ফেররান তোরেস।

 

ডি-বক্সে দারুণ এক পাস দেন ইয়ামাল, ছুটে গিয়ে প্রথম স্পর্শে এগিয়ে আসা গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে বল জালে পাঠান রবার্ট লেভানদোভস্কির জায়গায় শুরুর একাদশে সুযোগ পাওয়া তোরেস। প্রথমার্ধে আরও দুটি দারুণ সুযোগ পায় বার্সা। তবে সেগুলো কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন ইয়ামাল-রাফিনিয়ারা। তাতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় সফরকারীরা।

 

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অ্যাতলেটিকো একসঙ্গে তিনটি পরিবর্তন আনে, তাদেরই একজন আলেকসান্দার সরলথ দারুণ সুযোগ পান ৫২তম মিনিটে। কিন্তু ওয়ান-অন-ওয়ানে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি। তিন মিনিট পর সুযোগ পায় বার্সেলোনা, বক্সে ফের্মিন লোপেসের পাসে রাফিনিয়ার শট ঠেকান গোলরক্ষক। ৬৯তম মিনিটে বার্সেলোনার জালে বল পাঠান সরলথ, তবে অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান।

 

৭৪তম মিনিটে তোরেসের বদলি নামার একটু পরই গোলে শট নেন লেভানদোভস্কি, তবে গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেননি তিনি। শেষের কয়েক মিনিটে স্বাগতিকরা গোলের জন্য মরিয়া হয়ে আক্রমণ চালায়। তবে বাকি সময়ে দুই দল চেষ্টা করে গেলেও স্কোরলাইনে আর পরিবর্তন আসেনি। মূলত বার্সার রক্ষণভাগ তাদের সে সুযোগ দেয়নি। ১-০ গোলের জয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিলো কাতালানরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কোপা দেল রে’র ফাইনালে বার্সেলোনা, প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ

আপডেট সময় : ০৩:৩২:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫

প্রথম লেগে রোমাঞ্চকর এক লড়াই উপহার দিয়েছিল বার্সেলোনা ও অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। তবে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে খুব একটা জমেনি লড়াই। ফেররান তোরেসের কল্যাণে প্রথম আধা ঘন্টায় পাওয়া গোল বাকি সময়ে আগলে রাখল বার্সেলোনা। তাতে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে তিন মৌসুম পর কোপা দেল রের ফাইনালে উঠল কাতালান দলটি।

বুধবার (২ এপ্রিল) রাতে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদকে ১-০ গোলে হারিয়েছে হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ ব্যবধানের জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বার্সা। আগামী ২৬ এপ্রিলের শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ। ২০১৪ সালের পর এই প্রথম স্পেনের দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে দেখা যাবে এল-ক্লাসিকো মহারণ।

 

গত ফেব্রুয়ারিতে শেষ চারের প্রথম লেগে শুরুর ৬ মিনিটের মধ্যে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে ৮৩ মিনিট পর্যন্ত ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা; কিন্তু শেষ দিকে দুই গোল খেয়ে জয় হাতছাড়া করে তারা, ৪-৪ ড্র। অবশ্য গত মাসে লা লিগার ম্যাচে অ্যাতলেটিকোর মাঠে ৭১ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে ৪-২ ব্যবধানে জেতে ফ্লিকের দল।

 

ঘরের মাঠ ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় এদিন সমর্থকদের হতাশ করেছে অ্যাতলেটিকো। পুরো ম্যাচে ৬টি শট নিলেও তাদের একটি শটও ছিল না লক্ষ্য বরাবর। বিপরীতে ৫৭ শতাংশ সময় বল দখলে রাখা বার্সা ১৫টি শট নিয়ে ৫টি গোলমুখে রেখেছিল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বার্সেলোনার অপরাজেয় যাত্রা পৌঁছে গেল টানা ২১ ম্যাচে। লা লিগার শীর্ষে থাকা দলটি এই বছরে এখনও কোনো ম্যাচ হারেনি।

 

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে শুরু থেকে জমে ওঠে লড়াই। বল দখলে অবশ্য যথারীতি আধিপত্য করে বার্সেলোনা। কিন্তু কয়েকটি ‘হাফ চান্স’ তৈরি করলেও কাজে লাগাতে পারেনি কাতালানরা। লামিনে ইয়ামাল ও জুল কুন্দের শট লক্ষ্যে থাকেনি। একের পর এক চেষ্টার পর ম্যাচের ২৭তম মিনিটে বার্সাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ফেররান তোরেস।

 

ডি-বক্সে দারুণ এক পাস দেন ইয়ামাল, ছুটে গিয়ে প্রথম স্পর্শে এগিয়ে আসা গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে বল জালে পাঠান রবার্ট লেভানদোভস্কির জায়গায় শুরুর একাদশে সুযোগ পাওয়া তোরেস। প্রথমার্ধে আরও দুটি দারুণ সুযোগ পায় বার্সা। তবে সেগুলো কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন ইয়ামাল-রাফিনিয়ারা। তাতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় সফরকারীরা।

 

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অ্যাতলেটিকো একসঙ্গে তিনটি পরিবর্তন আনে, তাদেরই একজন আলেকসান্দার সরলথ দারুণ সুযোগ পান ৫২তম মিনিটে। কিন্তু ওয়ান-অন-ওয়ানে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি। তিন মিনিট পর সুযোগ পায় বার্সেলোনা, বক্সে ফের্মিন লোপেসের পাসে রাফিনিয়ার শট ঠেকান গোলরক্ষক। ৬৯তম মিনিটে বার্সেলোনার জালে বল পাঠান সরলথ, তবে অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান।

 

৭৪তম মিনিটে তোরেসের বদলি নামার একটু পরই গোলে শট নেন লেভানদোভস্কি, তবে গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেননি তিনি। শেষের কয়েক মিনিটে স্বাগতিকরা গোলের জন্য মরিয়া হয়ে আক্রমণ চালায়। তবে বাকি সময়ে দুই দল চেষ্টা করে গেলেও স্কোরলাইনে আর পরিবর্তন আসেনি। মূলত বার্সার রক্ষণভাগ তাদের সে সুযোগ দেয়নি। ১-০ গোলের জয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিলো কাতালানরা।