ঢাকা ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মদের বোতল হাতে বৈষম্যবিরোধী নেতা-নেত্রীর ভিডিও ভাইরাল, পদ স্থগিত

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:১৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫ ১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক মিরর টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝিনাইদহ জেলার সদস্যসচিব সাইদুর রহমান ও মুখপাত্র এলমা খাতুনের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। মদের বোতল নিয়ে আড্ডার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি।  

 

বুধবার (২৬ মার্চ) সংগঠনের ঝিনাইদহ জেলা আহ্বায়ক আবু হুরাইরা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়। একই সঙ্গে ভিডিও এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে জানতে একটি কমিটি গঠন করা হয়। আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।  

 

এর আগে, গত মঙ্গলবার রাত ৯টার পর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সাইদুর রহমান ও মুখপাত্র এলামা খাতুনের একটি ১ মিনিট ১২ সেকেন্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ব্যাগ হাতে সংগঠনের ঝিনাইদহ জেলা শাখার মুখপাত্র এলমা খাতুন একটি কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন। এরপর সঙ্গে থাকা ব্যাগ রেখে পাশে খাটের ওপর বসেন। আগে থেকে খাটে শুয়ে ছিলেন সদস্যসচিব সাইদুর রহমান। এরপর সাইদুর একটি পাতলা কম্বল নিজের শরীরের ওপর বিছিয়ে দেন আর এলমা খাতুন তার পাশে খাটে হেলান দিয়ে মোবাইল ফোন টিপতে থাকেন। পরে একটি মদের বোতল হাতে নেন এলমা খাতুন।

 

এ ব্যাপারে জানতে এলমা খাতুনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করে সাড়া না দেওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

 

তবে সাইদুর রহমান বলেন, গত বছরের অক্টোবর মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠন বিষয়ে কেন্দ্র থেকে একজন প্রতিনিধি আমাদের ডেকেছিল। তখন আমরা ঢাকায় গিয়েছিলাম। কিন্তু রাতে ৮ থেকে ১০ জনের থাকার ব্যবস্থা না হওয়ায় সহপাঠীর এক আত্মীয়ের বাসায় ছেলে ও মেয়েরা আলাদা কক্ষে ছিলাম। 

তিনি আরও বলেন, আমি ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় অন্য সহপাঠীরা আসে। এলমা আপুও আসেন। সে পাশে বসে পড়ায় আমি কম্বলটা গায়ে জড়িয়ে নিই। তখন আপু পাশে বসে মোবাইল চালাচ্ছিলেন। তবে, তার হাতে কিসের বোতল ছিল, সেটা তখন আমি বুঝতে পারিনি। কেউ শত্রুতাবশত ইচ্ছাকৃত এ কাজ করেছে। সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করাই ছিল তার মূল লক্ষ্য। 

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিনাইদহ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আবু হুরাইরা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে সাইদুর রহমান ও এলমা খাতুনের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিষয়টি তদন্তের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

 

তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয় না সাইদুর রহমান ও এলমা খাতুনের কোনো অনৈতিক সম্পর্ক আছে। ওই কক্ষে সাইদুর, এলমাসহ আরও ছয় থেকে সাতজন ছিল। তাদের মধ্যে কেউ একজন ভিডিওটি করেছে। তবে সে কে, তা-ও নির্দিষ্ট করবে তদন্ত কমিটি। তখনই পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মদের বোতল হাতে বৈষম্যবিরোধী নেতা-নেত্রীর ভিডিও ভাইরাল, পদ স্থগিত

আপডেট সময় : ০৩:১৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝিনাইদহ জেলার সদস্যসচিব সাইদুর রহমান ও মুখপাত্র এলমা খাতুনের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। মদের বোতল নিয়ে আড্ডার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি।  

 

বুধবার (২৬ মার্চ) সংগঠনের ঝিনাইদহ জেলা আহ্বায়ক আবু হুরাইরা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়। একই সঙ্গে ভিডিও এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে জানতে একটি কমিটি গঠন করা হয়। আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।  

 

এর আগে, গত মঙ্গলবার রাত ৯টার পর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সাইদুর রহমান ও মুখপাত্র এলামা খাতুনের একটি ১ মিনিট ১২ সেকেন্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ব্যাগ হাতে সংগঠনের ঝিনাইদহ জেলা শাখার মুখপাত্র এলমা খাতুন একটি কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন। এরপর সঙ্গে থাকা ব্যাগ রেখে পাশে খাটের ওপর বসেন। আগে থেকে খাটে শুয়ে ছিলেন সদস্যসচিব সাইদুর রহমান। এরপর সাইদুর একটি পাতলা কম্বল নিজের শরীরের ওপর বিছিয়ে দেন আর এলমা খাতুন তার পাশে খাটে হেলান দিয়ে মোবাইল ফোন টিপতে থাকেন। পরে একটি মদের বোতল হাতে নেন এলমা খাতুন।

 

এ ব্যাপারে জানতে এলমা খাতুনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করে সাড়া না দেওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

 

তবে সাইদুর রহমান বলেন, গত বছরের অক্টোবর মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠন বিষয়ে কেন্দ্র থেকে একজন প্রতিনিধি আমাদের ডেকেছিল। তখন আমরা ঢাকায় গিয়েছিলাম। কিন্তু রাতে ৮ থেকে ১০ জনের থাকার ব্যবস্থা না হওয়ায় সহপাঠীর এক আত্মীয়ের বাসায় ছেলে ও মেয়েরা আলাদা কক্ষে ছিলাম। 

তিনি আরও বলেন, আমি ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় অন্য সহপাঠীরা আসে। এলমা আপুও আসেন। সে পাশে বসে পড়ায় আমি কম্বলটা গায়ে জড়িয়ে নিই। তখন আপু পাশে বসে মোবাইল চালাচ্ছিলেন। তবে, তার হাতে কিসের বোতল ছিল, সেটা তখন আমি বুঝতে পারিনি। কেউ শত্রুতাবশত ইচ্ছাকৃত এ কাজ করেছে। সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করাই ছিল তার মূল লক্ষ্য। 

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিনাইদহ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আবু হুরাইরা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে সাইদুর রহমান ও এলমা খাতুনের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিষয়টি তদন্তের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

 

তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয় না সাইদুর রহমান ও এলমা খাতুনের কোনো অনৈতিক সম্পর্ক আছে। ওই কক্ষে সাইদুর, এলমাসহ আরও ছয় থেকে সাতজন ছিল। তাদের মধ্যে কেউ একজন ভিডিওটি করেছে। তবে সে কে, তা-ও নির্দিষ্ট করবে তদন্ত কমিটি। তখনই পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।