চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজার এলাকার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় নয়ন বড়ুয়া (২৯) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। রবিবার (২৩ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে চান্দঁগাও থানার মোহরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার (২৪ মার্চ) পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিট প্রধান পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শনিবার (২২ মার্চ) বিকেলে মরদেহটি উদ্ধার করে খুলশী থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার নয়ন বড়ুয়া ও হত্যাকাণ্ডের শিকার জোৎস্না চট্টগ্রামের কাপ্তাই এলাকার একটি গার্মেন্টেসে কাজ করতেন।

হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিট প্রধান পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, ‘শনিবার (২২ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার এলাকায় ফ্লাইওভারের নিচে বস্তাবন্দি একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তখন তার পরিচয় জানা যায়নি। পরে জানা যায় বস্তাবন্দি লাশটি গার্মেন্টসকর্মী জোৎস্নার।

এই ঘটনায় নিহতের বোন তৈয়বা বেগম খুলশী থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন,‘ভিকটিমের লাশ পাওয়ার পর থেকে পিবিআইয়ের একটি টিম নিহতের পরিচয় উদ্‌ঘাটন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়। প্রথমে অজ্ঞাতনামা ভিকটিমের পরিচয় নিশ্চিত করে জানা যায় তার নাম জোৎস্না। পরবর্তীতে তার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়ন বড়ুয়াকে রবিবার রাতে চট্টগ্রামের চান্দগাও থানার মোহরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পিবিআই পুলিশ সুপার আরো বলেন,‘গ্রেপ্তার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ জানা গেছে, নয়ন বড়ুয়া ও জোৎস্না একসঙ্গে কাপ্তাই রাস্তার মাথায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতো। এতে দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এক পর্যায়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বন্দরটিলায় কামাল ম্যানসনের নিচতলায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে একটি এক কক্ষের বাসা ভাড়া নেয়। নয়ন প্রায়ই এই বাসায় রাত্রি যাপন করতো। এরই ধারাবাহিকতায় ভিকটিম জোৎস্না নয়ন বড়ুয়াকে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয় ।

নয়ন বড়ুয়া তাতে অস্বীকৃতি জানায়। গত শনিবার সকাল সাড়ে সাতটায় বিয়ের বিষয় নিয়ে দুইজনের ঝগড়া হয়। এর একপর্যায়ে ভিকটিম জোৎস্নাকে গলাটিপে হত্যা করে নয়ন। হত্যা করার পর আসামি নয়ন বড়ুয়া ভিকটিমের লাশটি কম্বল ও দড়ি, ওড়না দিয়ে বেধে একটি প্লাস্টিকের বস্তায় ঢুকায় এবং রিকশা ও টেক্সীযোগে লালখান বাজার ফ্লাইওভারের নিচে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে।