পঞ্চগড়ে মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক কারাগারে

- আপডেট সময় : ০৫:১৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫ ২ বার পড়া হয়েছে
পঞ্চগড়ে এক আবাসিক মাদরাসা পড়ুয়া ১১ বছরের ছাত্রকে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে রেজওয়ান পারভেজ (২২) নামে এক মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে গ্রেপ্তারের পর শিক্ষক রেজওয়ান পারভেজকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
রোববার (১৬ মার্চ) পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের টোকরাভাষা মোশাররফ নগর এলাকার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মার্কাজুল উলূম মাদরাসায় (লিল্লাহ বোডিং ও এতিমখানা) এ ঘটনাটি ঘটে।
সোমবার (১৭ মার্চ) মধ্যরাতে স্থানীয়রা বিষয়টি জানতে পেরে তাকে আটক করে থানা পুলিশকে খবর দেয়। এর পর মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ভোর সকালে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে দেবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে।
গ্রেপ্তার রেজওয়ান পারভেজ একই মাদরাসার আবাসিক শিক্ষক। তার বাড়ি বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের বগদুলঝুলা সর্দারপাড়া এলাকায়।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অন্যান্য দিনের মতো গত ১৬ মার্চ রাতে ওই শিক্ষার্থী ঘুমিয়ে পড়ে। এর মাঝে মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষক রেজওয়ান পারভেজ তাকে জরুরী প্রয়োজনে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে যায়। এর পর ভয়ভীতি দেখিয়ে ও হুঁমকি দিয়ে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক বলাৎকার করে। এর পর ওই শিক্ষার্থীকে কোরআন শরীফের উপর হাত দিয়ে কাউকে না জানাতে শপথ করান শিক্ষক। সোমবার (১৭ মার্চ) রাতে মাদ্রাসার মসজিদের তারাবির নামাজের পর এক প্রতিবেশীকে দেখতে পেয়ে সব ঘটনা খুলে বলে। পরে তার বাবাকে জানানোর পাশাপাশি ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। পরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা মাদ্রাসায় উপস্থিত হলে স্থানীয়রা থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোয়েল রানা বলেন, খবর পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে রাতেই থানায় নেয়া হয়। ধর্ষণের অভিযোগে মঙ্গলবার ভোর সকালে থানায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পর আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এদিকে আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মার্কাজুল উলূম মাদরাসার (লিল্লাহ বোডিং ও এতিমখানা) মুহতামিম নুর নবী বলেন, রাতে মাদরাসায় স্থানীয়দের অবস্থান দেখে জানার চেষ্টা করা হলে তারা বিষয়টি না জানিয়ে আমাদের সেখান থেকে বের করে দেয়। একপর্যায়ে লোকজন ঘটনাটি মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে অবগত না করেই অভিযোগ তুলেছে।