ধর্ষকদের দ্রুত বিচারের দাবিতে মোমবাতি জ্বালিয়ে নীরব প্রতিবাদ

- আপডেট সময় : ০৫:৩১:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ ৮ বার পড়া হয়েছে
‘যখন প্রতিবাদের ভাষা আটকে যায় মুখে, ঠোঁট কাঁপতে থাকে থরথর, তখন প্রতিবাদ হোক নীরব, তীব্রতর’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রংপুর মহানগরীতে মোমবাতি জ্বালিয়ে নীরব প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মাগুরায় শিশু আছিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত আসামিদের দ্রুত বিচার এবং দেশজুড়ে চলমান নারী ও শিশু ধর্ষণে প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালন করে রংপুরের আম-জনতা।
নীরব প্রতিবাদ আয়োজনে উপস্থিত সবার চোখ কালো কাপড়ে বেঁধে, মুখে আঙুল দিয়ে ও মোমবাতি জ্বালিয়ে ৫ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এ সময় রংপুরের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, নারী সংগঠন কর্মী, লেখক-সাহিত্যিক, আইনজীবী, তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠী, স্বেচ্ছাসেবী ও সাংবাদিকগণ অংশগ্রহণ করেন।
অরাজনৈতিক এই নীরব প্রতিবাদের আয়োজন করেন রংপুরের লেখক ও সাংবাদিক লাবনী ইয়াসমিন লুনী।
আয়োজকদের মতে, চোখ বাঁধার মাধ্যমে আর কোনো ধর্ষণ বাংলাদেশ দেখতে চায় না জানানো হয়েছে। এ ছাড়া মুখে আঙুল দিয়ে বোঝানো হয়েছে, এসব ঘটনায় নারীদের চুপ থাকতে বলা হয় বারবার। নারীরা তখনই চুপ থাকবে যখন গ্যারান্টি দেওয়া হবে, তারা আর ধর্ষিত হবে না। এ ছাড়া নিরাপত্তার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র নিরাপত্তা দিলে নারীরা চুপ থাকবে।
রংপুরের এই নীরব প্রতিবাদের আয়োজক লাবনী ইয়াসমিন লুনী বলেন, নারী বা শিশু ধর্ষণের কারণ কখনও পোশাক বা মাহরাম হতে পারে না। এটা নিকৃষ্টমনা, বিকৃত রুচিসম্পন্ন মানুষের কাজ। এদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে এবং শুধু বিচার করলেই হবে না, তা দ্রুত কার্যকর করতে হবে। কোনো মেয়ে, বোন, নারী কিংবা গর্ভবতী নারী যেন আর ধর্ষণের শিকার না হয়। এই নিরাপত্তা রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে।
নীরব প্রতিবাদ আয়োজনের আরেক সমন্বয়ক শাহারিয়া সিদ্দিকী বলেন, দেশজুড়ে অনেক বিক্ষোভ ও আন্দোলন হয়েছে। চিৎকার করতে করতে আমরা ক্লান্ত। ইস্যুর পর ইস্যু দিয়ে আছিয়া হত্যাও মানুষ ভুলে যাবে। আমরা চাই না এভাবে একেক সন্তানের মরদেহ দাফন করে ভুলে যেতে। তাই আমরা মুখ বন্ধ করে, কালো কাপড়ে চোখ বেঁধে নীরব প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যা শক্তিশালী ও তীব্রতর।