ঢাকা ০১:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ত্রী পা চেপে ধরার পর পেটায় মেয়েরা, ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার!

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৫৬:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ ১০ বার পড়া হয়েছে

সংগৃহিত ছবি

দৈনিক মিরর টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের কয়েকদিন পর, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি হৃদয়বিদারক ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। যেখানে দেখা গেছে, ওই ব্যক্তির মেয়েরা তাকে মারধর করছে এবং সেসময় তার স্ত্রী তাকে ধরে রেখেছে।

 

সম্প্রতি ভারতের মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।মারধরের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশ জানিয়েছে, হরেন্দ্র মৌর্য নামের ওই ব্যক্তির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং পরীক্ষার পর জানা যাবে যে তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে।

 

পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান হরেন্দ্র তিন মেয়ে এবং এক ছেলের জনক ছিলেন। প্রতিবেশী এবং তার আত্মীয়স্বজনরা জানিয়েছেন, প্রায়শই স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া হতো। গত ১ মার্চ তিনি তার দুই মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেছিলেন। বিয়ের পরপরই জানা যায়, হরেন্দ্রর স্ত্রী বিচ্ছেদ চেয়েছিলেন এবং তার বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার কথা জানান।

 

স্ত্রীর এই আচরণে হতাশ হয়ে হরেন্দ্র নিজেকে একটি ঘরে আটকে রাখেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় পরও বের না হওয়ায় তার পরিবার তাকে খুঁজতে শুরু করে এবং ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। হরেন্দ্রকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

 

তার মৃত্যুর পর, প্রতিবেশীরা অভিযোগ করেন যে বাড়িতে ঘন ঘন ঝগড়ার কারণে হরেন্দ্র আত্মহত্যা করেছেন। তবে হরেন্দ্রর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তার বাবা এবং ভাইকে এই ‘হত্যাকাণ্ডের’ জন্য অভিযুক্ত করেছে।

 

এই অভিযোগের মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। ক্লিপটিতে দেখা যায়, হরেন্দ্রর স্ত্রী তার পা ধরে আছেন এবং তার মেয়েরা তাকে লাঠি দিয়ে মারছে। তাকে যন্ত্রণায় চিৎকার করতে দেখা যায়। একপর্যায়ে, তার ছোট ছেলে তার বোনকে থামাতে চেষ্টা করে। কিন্তু বোন তাকেও মারধরের হুমকি দেয়। সে যখন ছাড়া পাওয়ার চেষ্টা করে, তখন তার স্ত্রী তাকে আবার ধরে ফেলে এবং আক্রমণ চলতে থাকে।

 

১ ফেব্রুয়ারি তারিখের ভাইরাল ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং লোকটির জন্য ন্যায়বিচারের দাবি উঠেছে।

সূত্র: এনডিটিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

স্ত্রী পা চেপে ধরার পর পেটায় মেয়েরা, ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার!

আপডেট সময় : ১২:৫৬:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের কয়েকদিন পর, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি হৃদয়বিদারক ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। যেখানে দেখা গেছে, ওই ব্যক্তির মেয়েরা তাকে মারধর করছে এবং সেসময় তার স্ত্রী তাকে ধরে রেখেছে।

 

সম্প্রতি ভারতের মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।মারধরের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশ জানিয়েছে, হরেন্দ্র মৌর্য নামের ওই ব্যক্তির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং পরীক্ষার পর জানা যাবে যে তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে।

 

পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান হরেন্দ্র তিন মেয়ে এবং এক ছেলের জনক ছিলেন। প্রতিবেশী এবং তার আত্মীয়স্বজনরা জানিয়েছেন, প্রায়শই স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া হতো। গত ১ মার্চ তিনি তার দুই মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেছিলেন। বিয়ের পরপরই জানা যায়, হরেন্দ্রর স্ত্রী বিচ্ছেদ চেয়েছিলেন এবং তার বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার কথা জানান।

 

স্ত্রীর এই আচরণে হতাশ হয়ে হরেন্দ্র নিজেকে একটি ঘরে আটকে রাখেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় পরও বের না হওয়ায় তার পরিবার তাকে খুঁজতে শুরু করে এবং ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। হরেন্দ্রকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

 

তার মৃত্যুর পর, প্রতিবেশীরা অভিযোগ করেন যে বাড়িতে ঘন ঘন ঝগড়ার কারণে হরেন্দ্র আত্মহত্যা করেছেন। তবে হরেন্দ্রর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তার বাবা এবং ভাইকে এই ‘হত্যাকাণ্ডের’ জন্য অভিযুক্ত করেছে।

 

এই অভিযোগের মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। ক্লিপটিতে দেখা যায়, হরেন্দ্রর স্ত্রী তার পা ধরে আছেন এবং তার মেয়েরা তাকে লাঠি দিয়ে মারছে। তাকে যন্ত্রণায় চিৎকার করতে দেখা যায়। একপর্যায়ে, তার ছোট ছেলে তার বোনকে থামাতে চেষ্টা করে। কিন্তু বোন তাকেও মারধরের হুমকি দেয়। সে যখন ছাড়া পাওয়ার চেষ্টা করে, তখন তার স্ত্রী তাকে আবার ধরে ফেলে এবং আক্রমণ চলতে থাকে।

 

১ ফেব্রুয়ারি তারিখের ভাইরাল ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং লোকটির জন্য ন্যায়বিচারের দাবি উঠেছে।

সূত্র: এনডিটিভি