ঢাকা ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

মুনান হাওলাদার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
  • আপডেট সময় : ০৮:২১:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫ ৩৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক মিরর টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সারা দেশে চলমান ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে এবং ধর্ষকদের কঠোর শাস্তির দাবিতে ঢাকা রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।

 

রোববার (৯ মার্চ) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে অবস্থান নেন তারা। এর আগে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী হল থেকে প্যারিস রোডে জড়ো হতে শুরু করেন। সেখান থেকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান নেন তারা। এসময় তারা “অ্যাকশন টু ডু ডাইরেক্ট অ্যাকশান”, “আমার বোনের কান্না আর নয় কান্না”, “একটা একটা ধর্ষক ধর ধরে ধরে জবাই কর”, “ইউ ওয়ান্ট যাস্টিস নো মোর রেপিস্ট”, “খুনি কেনো বাহিরে ইনটেরিম জবাব চাই”, “রাবির অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশান”, আমার বোনের কান্না আর না আর না”, আমার মায়ের কান্না আর না আর না”, “তুমি কে আমি কে আছিয়া আছিয়া” এমনসব স্লোগান দেন।

 

এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, সারাদেশে চলমান ধর্ষণের কোনো উল্লেখযোগ্য বিচার করতে না পারেন শেখ হাসিনার অবস্থাটা মনে করিয়ে দিতে চাই। আমাদের যেন আবার ১ দফা নিয়ে নামতে না হয়। আছিয়ার ধর্ষণের দোষ ইনটেরিম এড়াতে পারবে না।

 

রাজশাহীতে যদি কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটে তাহলে রাজশাহী প্রশাসন ও দায় এড়াতে পারবে না। যত দ্রুত সম্ভব ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। শুধু আছিয়া না এতদিন যত ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে সব ঘটনার বিচার করতে হবে। আমাদের বোনদের নিরাপত্তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।

 

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত হোসাইন বলেন, দেশে এসব কি শুরু হয়েছে? সরকারের কাজ কি? এত এত ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে কোনো বিচার নেই কিছু নেই। তারা কি সবাই ঘুমাচ্ছে? সব ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যত দ্রুত সম্ভব ট্রাইব্যুনাল গঠন করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। কোনো ধর্ষক যেন ছাড় না পায়।

 

সবাইকে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। এসময় বিভিন্ন বিভাগের পাঁচ থেকে ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। অবরোধ শেষে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করেন এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস -পরিক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

আপডেট সময় : ০৮:২১:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

সারা দেশে চলমান ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে এবং ধর্ষকদের কঠোর শাস্তির দাবিতে ঢাকা রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।

 

রোববার (৯ মার্চ) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে অবস্থান নেন তারা। এর আগে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী হল থেকে প্যারিস রোডে জড়ো হতে শুরু করেন। সেখান থেকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান নেন তারা। এসময় তারা “অ্যাকশন টু ডু ডাইরেক্ট অ্যাকশান”, “আমার বোনের কান্না আর নয় কান্না”, “একটা একটা ধর্ষক ধর ধরে ধরে জবাই কর”, “ইউ ওয়ান্ট যাস্টিস নো মোর রেপিস্ট”, “খুনি কেনো বাহিরে ইনটেরিম জবাব চাই”, “রাবির অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশান”, আমার বোনের কান্না আর না আর না”, আমার মায়ের কান্না আর না আর না”, “তুমি কে আমি কে আছিয়া আছিয়া” এমনসব স্লোগান দেন।

 

এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, সারাদেশে চলমান ধর্ষণের কোনো উল্লেখযোগ্য বিচার করতে না পারেন শেখ হাসিনার অবস্থাটা মনে করিয়ে দিতে চাই। আমাদের যেন আবার ১ দফা নিয়ে নামতে না হয়। আছিয়ার ধর্ষণের দোষ ইনটেরিম এড়াতে পারবে না।

 

রাজশাহীতে যদি কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটে তাহলে রাজশাহী প্রশাসন ও দায় এড়াতে পারবে না। যত দ্রুত সম্ভব ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। শুধু আছিয়া না এতদিন যত ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে সব ঘটনার বিচার করতে হবে। আমাদের বোনদের নিরাপত্তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।

 

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত হোসাইন বলেন, দেশে এসব কি শুরু হয়েছে? সরকারের কাজ কি? এত এত ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে কোনো বিচার নেই কিছু নেই। তারা কি সবাই ঘুমাচ্ছে? সব ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যত দ্রুত সম্ভব ট্রাইব্যুনাল গঠন করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। কোনো ধর্ষক যেন ছাড় না পায়।

 

সবাইকে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। এসময় বিভিন্ন বিভাগের পাঁচ থেকে ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। অবরোধ শেষে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করেন এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস -পরিক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন।