ঢাকা ০৩:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদেশে উচ্চশিক্ষায় পাঠাবে বলে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ, দিশেহারা পাঁচ পরিবার

জামালপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৬:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫ ২১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক মিরর টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভালো চাকরি ও দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চশিক্ষায় পাঠানোর কথা বলে জামালপুরের মেলান্দহে পাঁচ যুবকের কাছ থেকে অর্ধকোটি টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে এক পরিবারের পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে। টাকা দিয়েও বিদেশে যেতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা।

বিষয়টি নিয়ে এলাকায় একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ ও থানায় অভিযোগ দিয়েও কোনো সুরাহা না পেয়ে টাকা ফেরতের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলার আদ্রা বড়বাড়ি গ্রামের ভুক্তভোগী পরিবারগুলো ওই প্রতারকের বাড়িতেই সংবাদ সম্মেলন করেছে।

এ সময় ভুক্তভোগীদের মধ্যে লিখিত বক্তব্য দেন, হাবিবুর রহমান বাবু, সুলতান মাহমুদ, নজরুল ইসলাম, মমিন মিয়া, মর্জিনা বেগম প্রমুখ।

 

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ‘২০২৩ সালে আদ্রা বড়বাড়ি গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুল জলিল ওরুফে বাদল মাস্টার, তার ছেলে রাগিব ইয়াসির সিনজন, পুত্রবধূ রোকেয়া আফরোজ প্রাপ্তি, ভাই রোবেল মিয়া ও স্ত্রী করোনা বেগম কনা পরস্পর যোগসাজশে স্টুডেন্ট ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়া পাঠানোর কথা বলে আমাদের পাঁচজনের থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। পরে আমাদের মধ্যে একজনকে ঢাকায় কোরিয়ান দূতাবাসে পাঠাই খোঁজ নেওয়ার জন্য। দূতাবাসে গিয়ে জানতে পারি আমাদের কাগজপত্র ভুয়া।

 

‘এমন প্রতারণার বিষয়ে আমরা এলাকাবাসীসহ আদ্রা ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বাররা কয়েক দফা সালিশ করেছেন  একপর্যায়ে আমাদের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য সময় নিয়ে তারা বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়েছেন। স্বজনরা ফোন করলেও টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় তারা। উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলাসহ নানা হুমকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। এ নিয়ে আমরা মেলান্দহ থানায় অভিযোগ দিয়েছি।’

 

তারা আরও বলেন, ‘গৃহপালিত পশু, জমি বিক্রিসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে উচ্চসুদে ঋণ নিয়ে আমরা টাকা দিয়েছি। পাওনাদারেরা আমাদের ওপর টাকা পরিশোধের জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছে।’ প্রতারকদের বিচার ও আত্মসাৎ কৃত অর্থ ফেরতের দাবি জানান তারা।

 

এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত যে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন তা নেওয়া হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বিদেশে উচ্চশিক্ষায় পাঠাবে বলে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ, দিশেহারা পাঁচ পরিবার

আপডেট সময় : ০৪:৩৬:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

ভালো চাকরি ও দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চশিক্ষায় পাঠানোর কথা বলে জামালপুরের মেলান্দহে পাঁচ যুবকের কাছ থেকে অর্ধকোটি টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে এক পরিবারের পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে। টাকা দিয়েও বিদেশে যেতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা।

বিষয়টি নিয়ে এলাকায় একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ ও থানায় অভিযোগ দিয়েও কোনো সুরাহা না পেয়ে টাকা ফেরতের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলার আদ্রা বড়বাড়ি গ্রামের ভুক্তভোগী পরিবারগুলো ওই প্রতারকের বাড়িতেই সংবাদ সম্মেলন করেছে।

এ সময় ভুক্তভোগীদের মধ্যে লিখিত বক্তব্য দেন, হাবিবুর রহমান বাবু, সুলতান মাহমুদ, নজরুল ইসলাম, মমিন মিয়া, মর্জিনা বেগম প্রমুখ।

 

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ‘২০২৩ সালে আদ্রা বড়বাড়ি গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুল জলিল ওরুফে বাদল মাস্টার, তার ছেলে রাগিব ইয়াসির সিনজন, পুত্রবধূ রোকেয়া আফরোজ প্রাপ্তি, ভাই রোবেল মিয়া ও স্ত্রী করোনা বেগম কনা পরস্পর যোগসাজশে স্টুডেন্ট ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়া পাঠানোর কথা বলে আমাদের পাঁচজনের থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। পরে আমাদের মধ্যে একজনকে ঢাকায় কোরিয়ান দূতাবাসে পাঠাই খোঁজ নেওয়ার জন্য। দূতাবাসে গিয়ে জানতে পারি আমাদের কাগজপত্র ভুয়া।

 

‘এমন প্রতারণার বিষয়ে আমরা এলাকাবাসীসহ আদ্রা ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বাররা কয়েক দফা সালিশ করেছেন  একপর্যায়ে আমাদের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য সময় নিয়ে তারা বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়েছেন। স্বজনরা ফোন করলেও টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় তারা। উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলাসহ নানা হুমকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। এ নিয়ে আমরা মেলান্দহ থানায় অভিযোগ দিয়েছি।’

 

তারা আরও বলেন, ‘গৃহপালিত পশু, জমি বিক্রিসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে উচ্চসুদে ঋণ নিয়ে আমরা টাকা দিয়েছি। পাওনাদারেরা আমাদের ওপর টাকা পরিশোধের জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছে।’ প্রতারকদের বিচার ও আত্মসাৎ কৃত অর্থ ফেরতের দাবি জানান তারা।

 

এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত যে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন তা নেওয়া হবে।’