ঢাকা ০৭:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আলেমদের নেতৃত্বেই উগ্রবাদের বীজ শিকড়সহ উপড়ে ফেলতে হবে!

শিবলী মাহাদী, লেখক ও কলামিষ্ট
  • আপডেট সময় : ০২:০৫:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫ ৬০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক মিরর টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পরিবারের অনুরোধে দেশে আসার জন্য ক্রয় করা টিকেট বাতিল করে দিতে চাচ্ছি! কারণ দিনশেষে আমার নিজের নিরাপত্তা আমার কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।

আপনি কি ভাবতে পারেন, এই বাংলাদেশে বায়তুল মোকাররম থেকে হিযবুত তাহরীর ব্যানারে প্রকাশ্যে বিশাল মিছিল। আমি রিতীমত থমকে উঠেছি! আতঁকে উঠেছি। রাজধানীজুড়ে এই নিষিদ্ধ উগ্রবাদী সংগঠন এর এতো মানুষ! ইন্না-লিল্লাহ! দেশতো চরম নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। এতো বড় ধৃষ্টতা ,সাহস তারা কোথায় পেলো?

বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের শতো, হাজার অপকর্ম আর কুকর্মের মাঝে একটি বিষয় ভালো লাগতো, উগ্রবাদীদের হাসিনা কঠোর হাতে দমন করতো। কিন্তু হাসিনা সরকার উগ্রবাদী নাম বাগিয়ে উগ্রবাদের সাথে তার নিজের মতের বিরুদ্ধে থাকা নিরীহ মানুষকেও ফাসিয়ে দিতো। বিশেষ করে ইসলামপন্থী উলামা-মাশায়েখ অনেকের কন্ঠ রোধ করতো উগ্রবাদী তালিকায় নাম দিয়ে। সেটি আমার চরম অপছন্দের ছিলো।

বর্তমান সরকার ইসলাম ও আলেমদের প্রতি সংবেদনশীল। কারণ বিগত ১৭ বছরে ফ্যাসিস্ট কর্তৃক আলেমরা সবচেয়ে বেশি নিপীড়িত ও নির্যাতিত।বর্তমান সরকার মুসলমানদের পালস বুঝে কাজ করার চেষ্টা করছে। মুসলমানদের আবেগ অনুভূতি কে প্রাধান্য দিচ্ছে। ৯৫ শতাংশ মুসলিম দেশে এটিই স্বাভাবিক।

 

 

কিন্তু সরকার কে এটাও মাথায় রাখতে হবে ” ধর্ম এমন এক জিনিস যার লেবাস সবাই ধারণ করতে পারে। আপনি মন্দিরের বড় এক পুরোহিত কে দাড়ি টুপি পড়িয়ে মসজিদে পাঠিয়ে দিন কেউ বুঝতে পারবেনা সে অন্য ধর্মের। ঠিক তেমনিভাবে একজন মুসলমানকে ধুতি,চাদর, মালা পড়িয়ে মন্দিরে পাঠিয়ে দিন কেউ বুঝবেনা সে অন্য ধর্মের। সুতরাং সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে নতুবা দেশ জঙ্গিবাদে পরিণত হবে।

 

আমি সম্মানিত আলেম সমাজের লক্ষ্যে কিছু কথা বলতে চাই, আপনাদের পোশাকেই এখন সবচেয়ে বেশি অন্যায় , অপরাধ হবে। আপনাদেরকে জাতির সামনে কলুষিত করতে শত্রুপক্ষ আপনাদের পোশাক পড়েই দেশে অরাজকতা করবে। সুতরাং আহলে হক ইসলামপন্থী কাজের বাহিরে যারাই ভিন্ন কোনো কাজ করবে সরকারের আগে আপনাদের ওই দলকে প্রতিহত করতে হবে। মনে রাখবেন মূলত কোনো ধর্ম, মতবাদ ও আদর্শ কখনো জঙ্গিপনা, সহিংসতা কিংবা সন্ত্রাস শিক্ষা দেয় না। মানুষ মানবীয় লোভ, দুর্বলতা, অসহায়ত্ব, প্রতিশোধস্পৃহা ইত্যাদির কারণে সহিংসতায় লিপ্ত হয়।

 

 

এমন সহিংসতায় লিপ্ত ব্যক্তি নিজের কর্মের পক্ষে সাফাই গাওয়ার জন্য, বিবেককে অপরাধবোধ থেকে মুক্ত করার জন্য, অন্যকে পক্ষে টানার জন্য ধর্মের অপব্যাখ্যার আশ্রয় নেয়। এ জন্য ইসলামি শিক্ষার সম্প্রসারণ, প্রচার-প্রসারই হতে পারে জঙ্গি দমনের অন্যতম উপায়। কারণ, সঠিক ইসলামি জ্ঞান থাকলে তাকে ইসলামের নামে বিভ্রান্ত করা সম্ভব হবে না।

 

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, “যারা পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করে বেড়ায় তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে অভিশাপ এবং মন্দ আবাসের হুঁশিয়ারি (সূরা রাদ: ২৫)”

আর সরকারের উদ্দেশ্যে দুটি কথা যেকোনো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কিংবা দেশবিরোধী যেকোনো চক্রান্ত অত্যন্ত শক্ত হাতে দমন করুন। সে যেই হোক, যেই দলের হোক, যেই লেবাসের হোক দেশবিরোধী হলেই আল্লাহর ওয়াস্তে সর্বোচ্চ শাস্তি।দ্রুত বিচার আইনে শাস্তি! এই বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবেনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

One thought on “আলেমদের নেতৃত্বেই উগ্রবাদের বীজ শিকড়সহ উপড়ে ফেলতে হবে!

  1. Hello,

    With your permission I would like to send you a SEO Report with prices showing you a few things to greatly improve these search results for you.

    These things are not difficult, and my report will be very specific. It will show you exactly what needs to be done to move you up in the rankings dramatically.

    If interested. May I send you a quote/package/proposal.?

    Thanks & Regards,
    Ella

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আলেমদের নেতৃত্বেই উগ্রবাদের বীজ শিকড়সহ উপড়ে ফেলতে হবে!

আপডেট সময় : ০২:০৫:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

পরিবারের অনুরোধে দেশে আসার জন্য ক্রয় করা টিকেট বাতিল করে দিতে চাচ্ছি! কারণ দিনশেষে আমার নিজের নিরাপত্তা আমার কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।

আপনি কি ভাবতে পারেন, এই বাংলাদেশে বায়তুল মোকাররম থেকে হিযবুত তাহরীর ব্যানারে প্রকাশ্যে বিশাল মিছিল। আমি রিতীমত থমকে উঠেছি! আতঁকে উঠেছি। রাজধানীজুড়ে এই নিষিদ্ধ উগ্রবাদী সংগঠন এর এতো মানুষ! ইন্না-লিল্লাহ! দেশতো চরম নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। এতো বড় ধৃষ্টতা ,সাহস তারা কোথায় পেলো?

বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের শতো, হাজার অপকর্ম আর কুকর্মের মাঝে একটি বিষয় ভালো লাগতো, উগ্রবাদীদের হাসিনা কঠোর হাতে দমন করতো। কিন্তু হাসিনা সরকার উগ্রবাদী নাম বাগিয়ে উগ্রবাদের সাথে তার নিজের মতের বিরুদ্ধে থাকা নিরীহ মানুষকেও ফাসিয়ে দিতো। বিশেষ করে ইসলামপন্থী উলামা-মাশায়েখ অনেকের কন্ঠ রোধ করতো উগ্রবাদী তালিকায় নাম দিয়ে। সেটি আমার চরম অপছন্দের ছিলো।

বর্তমান সরকার ইসলাম ও আলেমদের প্রতি সংবেদনশীল। কারণ বিগত ১৭ বছরে ফ্যাসিস্ট কর্তৃক আলেমরা সবচেয়ে বেশি নিপীড়িত ও নির্যাতিত।বর্তমান সরকার মুসলমানদের পালস বুঝে কাজ করার চেষ্টা করছে। মুসলমানদের আবেগ অনুভূতি কে প্রাধান্য দিচ্ছে। ৯৫ শতাংশ মুসলিম দেশে এটিই স্বাভাবিক।

 

 

কিন্তু সরকার কে এটাও মাথায় রাখতে হবে ” ধর্ম এমন এক জিনিস যার লেবাস সবাই ধারণ করতে পারে। আপনি মন্দিরের বড় এক পুরোহিত কে দাড়ি টুপি পড়িয়ে মসজিদে পাঠিয়ে দিন কেউ বুঝতে পারবেনা সে অন্য ধর্মের। ঠিক তেমনিভাবে একজন মুসলমানকে ধুতি,চাদর, মালা পড়িয়ে মন্দিরে পাঠিয়ে দিন কেউ বুঝবেনা সে অন্য ধর্মের। সুতরাং সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে নতুবা দেশ জঙ্গিবাদে পরিণত হবে।

 

আমি সম্মানিত আলেম সমাজের লক্ষ্যে কিছু কথা বলতে চাই, আপনাদের পোশাকেই এখন সবচেয়ে বেশি অন্যায় , অপরাধ হবে। আপনাদেরকে জাতির সামনে কলুষিত করতে শত্রুপক্ষ আপনাদের পোশাক পড়েই দেশে অরাজকতা করবে। সুতরাং আহলে হক ইসলামপন্থী কাজের বাহিরে যারাই ভিন্ন কোনো কাজ করবে সরকারের আগে আপনাদের ওই দলকে প্রতিহত করতে হবে। মনে রাখবেন মূলত কোনো ধর্ম, মতবাদ ও আদর্শ কখনো জঙ্গিপনা, সহিংসতা কিংবা সন্ত্রাস শিক্ষা দেয় না। মানুষ মানবীয় লোভ, দুর্বলতা, অসহায়ত্ব, প্রতিশোধস্পৃহা ইত্যাদির কারণে সহিংসতায় লিপ্ত হয়।

 

 

এমন সহিংসতায় লিপ্ত ব্যক্তি নিজের কর্মের পক্ষে সাফাই গাওয়ার জন্য, বিবেককে অপরাধবোধ থেকে মুক্ত করার জন্য, অন্যকে পক্ষে টানার জন্য ধর্মের অপব্যাখ্যার আশ্রয় নেয়। এ জন্য ইসলামি শিক্ষার সম্প্রসারণ, প্রচার-প্রসারই হতে পারে জঙ্গি দমনের অন্যতম উপায়। কারণ, সঠিক ইসলামি জ্ঞান থাকলে তাকে ইসলামের নামে বিভ্রান্ত করা সম্ভব হবে না।

 

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, “যারা পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করে বেড়ায় তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে অভিশাপ এবং মন্দ আবাসের হুঁশিয়ারি (সূরা রাদ: ২৫)”

আর সরকারের উদ্দেশ্যে দুটি কথা যেকোনো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কিংবা দেশবিরোধী যেকোনো চক্রান্ত অত্যন্ত শক্ত হাতে দমন করুন। সে যেই হোক, যেই দলের হোক, যেই লেবাসের হোক দেশবিরোধী হলেই আল্লাহর ওয়াস্তে সর্বোচ্চ শাস্তি।দ্রুত বিচার আইনে শাস্তি! এই বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবেনা।