ঢাকা ১০:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৬৭৫ টাকায় আমদানি করা খেঁজুর বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ টাকায়

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:১১:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫ ১৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক মিরর টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের বাজারে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় ইরাকের জাহিদি খেজুর। গত দুই মাসে আমদানি হওয়া খেজুরের ৬৪ শতাংশই ছিল এই জাহিদি খেজুর। তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে এই খেজুরের চাহিদা বেশি। তবে দামি মরিয়ম ও মেডজুল জাতীয় খেজুরের দাম আমদানি মূল্যের তুলনায় অনেক বেশি।

 

দাম ও আমদানি: সর্বোচ্চ ৬৭৫ টাকায় আমদানি হওয়া মেডজুল খেজুর খুচরায় ১,১০০ থেকে ১,৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে, ৬৩২ টাকায় আমদানি হওয়া মরিয়ম খেজুর খুচরায় ১,১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর মানে, মেডজুল ও মরিয়ম খেজুরে আমদানি মূল্যের সঙ্গে খুচরায় দামের ব্যবধান ৪৬৮ থেকে ১,১২৫ টাকা পর্যন্ত।

 

আমদানির খরচ: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, জাহিদি খেজুরের আমদানি মূল্য প্রতি কেজি ৮১ সেন্ট বা ৯৮ টাকা। শুল্ক ও করসহ মোট আমদানি খরচ ১৪৬ টাকা কেজি। আমদানিকারকরা পরিবহন ও সংরক্ষণ খরচ যুক্ত করে বাজারে এই খেজুর বিক্রি করছেন ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকায়।

 

পাইকারি ও খুচরা বিক্রি  : পাইকারি ব্যবসায়ীরা আমদানিকারক থেকে খেজুর কিনে থাকেন এবং খুচরা বিক্রেতাদের মাধ্যমে ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেন। চট্টগ্রামের স্টেশন রোডের ফলমন্ডি বাজারের আমদানিকারক মোহাম্মদ কামাল বলেন, “আমরা ন্যায্য দামে বিক্রি করছি। খুচরায় অস্বাভাবিক দাম বাড়লে সেটার দায় আমাদের নয়।

 

খুচরা বাজারের অবস্থা : ফলমন্ডির খুচরা বিক্রেতা নিউ আঁখি এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার জাহাঙ্গীর আলম জানান, জাহিদি খেজুর প্রতি কেজি ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাঁচ কেজির কার্টন বিক্রি হচ্ছে ১,১৫০ টাকায়, যার ফলে দাম পড়ে ২৩০ টাকা কেজি।

 

বাংলাদেশে খেজুরের বাজারে আমদানি ও খুচরা দামের মধ্যে বিশাল ব্যবধান দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে দামি খেজুরের ক্ষেত্রে এই ব্যবধান আরও বেশি। সরকার ও ব্যবসায়ীদের উচিত এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করা, যাতে সাধারণ মানুষ সঠিক মূল্যে খেজুর কিনতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

৬৭৫ টাকায় আমদানি করা খেঁজুর বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ টাকায়

আপডেট সময় : ০৪:১১:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশের বাজারে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় ইরাকের জাহিদি খেজুর। গত দুই মাসে আমদানি হওয়া খেজুরের ৬৪ শতাংশই ছিল এই জাহিদি খেজুর। তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে এই খেজুরের চাহিদা বেশি। তবে দামি মরিয়ম ও মেডজুল জাতীয় খেজুরের দাম আমদানি মূল্যের তুলনায় অনেক বেশি।

 

দাম ও আমদানি: সর্বোচ্চ ৬৭৫ টাকায় আমদানি হওয়া মেডজুল খেজুর খুচরায় ১,১০০ থেকে ১,৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে, ৬৩২ টাকায় আমদানি হওয়া মরিয়ম খেজুর খুচরায় ১,১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর মানে, মেডজুল ও মরিয়ম খেজুরে আমদানি মূল্যের সঙ্গে খুচরায় দামের ব্যবধান ৪৬৮ থেকে ১,১২৫ টাকা পর্যন্ত।

 

আমদানির খরচ: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, জাহিদি খেজুরের আমদানি মূল্য প্রতি কেজি ৮১ সেন্ট বা ৯৮ টাকা। শুল্ক ও করসহ মোট আমদানি খরচ ১৪৬ টাকা কেজি। আমদানিকারকরা পরিবহন ও সংরক্ষণ খরচ যুক্ত করে বাজারে এই খেজুর বিক্রি করছেন ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকায়।

 

পাইকারি ও খুচরা বিক্রি  : পাইকারি ব্যবসায়ীরা আমদানিকারক থেকে খেজুর কিনে থাকেন এবং খুচরা বিক্রেতাদের মাধ্যমে ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেন। চট্টগ্রামের স্টেশন রোডের ফলমন্ডি বাজারের আমদানিকারক মোহাম্মদ কামাল বলেন, “আমরা ন্যায্য দামে বিক্রি করছি। খুচরায় অস্বাভাবিক দাম বাড়লে সেটার দায় আমাদের নয়।

 

খুচরা বাজারের অবস্থা : ফলমন্ডির খুচরা বিক্রেতা নিউ আঁখি এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার জাহাঙ্গীর আলম জানান, জাহিদি খেজুর প্রতি কেজি ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাঁচ কেজির কার্টন বিক্রি হচ্ছে ১,১৫০ টাকায়, যার ফলে দাম পড়ে ২৩০ টাকা কেজি।

 

বাংলাদেশে খেজুরের বাজারে আমদানি ও খুচরা দামের মধ্যে বিশাল ব্যবধান দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে দামি খেজুরের ক্ষেত্রে এই ব্যবধান আরও বেশি। সরকার ও ব্যবসায়ীদের উচিত এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করা, যাতে সাধারণ মানুষ সঠিক মূল্যে খেজুর কিনতে পারে।