ঢাকা ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় সামর্থ্যহীন ১৫ হাজার রোজাদারের মাসব্যাপী ইফতার

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৪:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫ ৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক মিরর টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাইবান্ধায় সামর্থ্যহীন ১৫ হাজার রোজাদার নারী-পুরুষ সবার জন্য মাসব্যাপী ইফতার ও রাতের খাবার আয়োজন করেছে ‘জিইউকে’ নামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা।

 

চলতি পবিত্র মাহে রমজানের শুরু থেকে এই কর্মসূচি চলমান রয়েছে। জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে প্রত্যেকদিন প্রায় ৫০০ রোজাদার ব্যক্তি ইফতার ও রাতের খাবার সুবিধা পাচ্ছেন। ওইসব মানুষদের পেট ভরে তৃপ্তি সহকারে খাওয়ার জন্য পরিবেশন করা হচ্ছে সুস্বাদু খাবার।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত পাঁচ বছর ধরে এই সংস্থাটি নিজস্ব উদ্যোগে গাইবান্ধা পৌর এলাকা ও আশপাশের ইউনিয়নের এতিম, প্রতিবন্ধী, অসহায় ও দরিদ্র নারী-পুরুষদের ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন চলছে। এ বছরেও আয়োজন শুরু হয়েছে প্রথম রমজান থেকে এবং চলবে শেষদিন পর্যন্ত। অত্যন্ত স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ও সুন্দর পরিবেশে সম্মানজনকভাবে আমন্ত্রিতরা এখানে এসে ইফতার ও রাতের খাবার খেয়ে থাকেন।

 

এছাড়াও ইফতারের সময় এখানে ভ্রাম্যমাণ দরিদ্রদের জন্য খাবারের ব্যবস্থাও থাকে। প্রতিদিন ইফতারের সঙ্গে বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হয় সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির সুধীজন ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের। বিশেষ অতিথিরা এখানে এসেও ইফতার ও রাতের খাবারে অংশ নেন। তবে এই আয়োজন ও খাবারের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এতিম, প্রতিবন্ধী ও অসহায় দরিদ্রদের জন্য যে খাবার ও বসার আয়োজন থাকে বিশেষ আমন্ত্রণে অংশগ্রহণকারীদের জন্যও থাকে একই ব্যবস্থা।

 

গাইবান্ধার আশ্রয় কেন্দ্রের বাসিন্দা মরিয়ম বেগম জানান, প্রতিবন্ধী হওয়ায় দুই সন্তান রেখে স্বামী ঢাকায় চলে গেছেন। কোনোমতে টেনেটুনে সংসার চলে। দুই সন্তানসহ কখনও পেট ভরে তৃপ্তি নিয়ে ভালো খাবার জোটে না কপালে। রমজানে এখানে এসে পেট ভরে খাবার খেতে পারছি।

 

আয়োজক সংস্থার নির্বাহী প্রধান এম আবদুস সালাম জানান, অতিদরিদ্র ও সামর্থ্যহীন পরিবারের মানুষজন পেট ভরে পুষ্টিকর খাবার খাবে মূলত এই উদ্দেশে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। গত ৫ বছর ধরে সংস্থার কর্মীদের দেওয়া অর্থে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

 

এই মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে গাইবান্ধা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক একেএম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, এমন আয়োজনে সামর্থ্যবান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

গাইবান্ধায় সামর্থ্যহীন ১৫ হাজার রোজাদারের মাসব্যাপী ইফতার

আপডেট সময় : ০৯:৩৪:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

গাইবান্ধায় সামর্থ্যহীন ১৫ হাজার রোজাদার নারী-পুরুষ সবার জন্য মাসব্যাপী ইফতার ও রাতের খাবার আয়োজন করেছে ‘জিইউকে’ নামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা।

 

চলতি পবিত্র মাহে রমজানের শুরু থেকে এই কর্মসূচি চলমান রয়েছে। জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে প্রত্যেকদিন প্রায় ৫০০ রোজাদার ব্যক্তি ইফতার ও রাতের খাবার সুবিধা পাচ্ছেন। ওইসব মানুষদের পেট ভরে তৃপ্তি সহকারে খাওয়ার জন্য পরিবেশন করা হচ্ছে সুস্বাদু খাবার।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত পাঁচ বছর ধরে এই সংস্থাটি নিজস্ব উদ্যোগে গাইবান্ধা পৌর এলাকা ও আশপাশের ইউনিয়নের এতিম, প্রতিবন্ধী, অসহায় ও দরিদ্র নারী-পুরুষদের ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন চলছে। এ বছরেও আয়োজন শুরু হয়েছে প্রথম রমজান থেকে এবং চলবে শেষদিন পর্যন্ত। অত্যন্ত স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ও সুন্দর পরিবেশে সম্মানজনকভাবে আমন্ত্রিতরা এখানে এসে ইফতার ও রাতের খাবার খেয়ে থাকেন।

 

এছাড়াও ইফতারের সময় এখানে ভ্রাম্যমাণ দরিদ্রদের জন্য খাবারের ব্যবস্থাও থাকে। প্রতিদিন ইফতারের সঙ্গে বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হয় সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির সুধীজন ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের। বিশেষ অতিথিরা এখানে এসেও ইফতার ও রাতের খাবারে অংশ নেন। তবে এই আয়োজন ও খাবারের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এতিম, প্রতিবন্ধী ও অসহায় দরিদ্রদের জন্য যে খাবার ও বসার আয়োজন থাকে বিশেষ আমন্ত্রণে অংশগ্রহণকারীদের জন্যও থাকে একই ব্যবস্থা।

 

গাইবান্ধার আশ্রয় কেন্দ্রের বাসিন্দা মরিয়ম বেগম জানান, প্রতিবন্ধী হওয়ায় দুই সন্তান রেখে স্বামী ঢাকায় চলে গেছেন। কোনোমতে টেনেটুনে সংসার চলে। দুই সন্তানসহ কখনও পেট ভরে তৃপ্তি নিয়ে ভালো খাবার জোটে না কপালে। রমজানে এখানে এসে পেট ভরে খাবার খেতে পারছি।

 

আয়োজক সংস্থার নির্বাহী প্রধান এম আবদুস সালাম জানান, অতিদরিদ্র ও সামর্থ্যহীন পরিবারের মানুষজন পেট ভরে পুষ্টিকর খাবার খাবে মূলত এই উদ্দেশে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। গত ৫ বছর ধরে সংস্থার কর্মীদের দেওয়া অর্থে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

 

এই মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে গাইবান্ধা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক একেএম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, এমন আয়োজনে সামর্থ্যবান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান করছি।