সংবাদ শিরোনাম ::
সার্টিফিকেট ছাড়াই তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
- আপডেট সময় : ০৪:১৮:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫ ১৮ বার পড়া হয়েছে
১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত কুমারখালীর পান্টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী একটি প্রতিষ্ঠান। জানাগেছে, বিদ্যলয়টির প্রধান শিক্ষক শেখ ওবায়দুল হক দিলুর অবসহর গ্রহনের পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব গ্রহন করেন পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাধারন সম্পাদক সুমন মিয়া। তবে ম্যানেজিং কমিটিতে নতুন সভাপতি হন আওয়ামীলীগ নেতা রাশেদুজ্জামান তুষার ৷
তুষার সভাপতি নির্বাচিত হবার পরপরই রাজনৈতিক বিরোধ থাকায় তরিহরি করে বিভিন্ন কারন দেখিয়ে সুমনকে সড়িয়ে দেওয়া হয় এবং রহমতুল্লাহ নামে সহকারী শিক্ষকতে ভারপ্রাপ্ত প্রথান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে বিভিন্ন সৃত্রে জানা যায় আওয়ামিলীগের মদদপুষ্টের নিয়োগপত্র শিক্ষক রহমতুল্লাহার নেই কামিল পাশের কোন সার্টিফিকেট।
তিনি ভূয়া কাগজ দেখিয়ে চাকরি করছেন। এমন গুঞ্জনে এই প্রতিবেদক যায় পান্টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। প্রধান শিক্ষকের নেই কামিল পাশের সার্টিফিকেট এমন প্রশ্ন করলে তিনি সার্টিফিকেট দেখাতে পারেন নাই।
তিনি জানান, অনেক বছর আগে আমার মেয়ে আমেরিকা যাওয়ার সময় নিয়ে কোথায় যে রেখেছে সেটা জানিনা। তবে ফটোকপি দিয়েই সব কাজ সারছি। জনমনে প্রশ্ন এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে যদি সার্টিফিকেটই না থাকে তাহলে কিভাবে স্ব পদে বসে আছেন।
অভিবাবক ও স্থানীয়রা দাবি করছেন দ্রুত এই শিক্ষককে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে অপসারণ করা হোক। এছাড়াও অনেকেই বলছেন, আওয়ামীলীগ নেতা জাহিদ হোসেন জাফর ও তার অনুসারী রাশেদুজ্জামান তুষাদের অনুসারী হওয়াতেই কোন নিয়ম নীতি না মেনেই তাকে দেওয়া হয় প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ এই দায়িত্ব। তাহলে হাসিনা সরকার পদত্যাগের পর কিভাবে তিনি স্বপদে বসে আছেন সেই প্রশ্ন জনমনে।
এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কামাল উদ্দিন জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।