ঢাকা ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাকার জন্য স্ত্রী-সন্তানকে বের করে দিলেন শাহীন

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৯:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫ ২৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক মিরর টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঝালকাঠিতে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের বাউকাঠি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত শাহীন হাওলাদার নবগ্রাম ইউনিয়নের বাউকাঠির মুনসুর আলীর ছেলে। ভুক্তভোগী রাবিয়া আক্তার সুমি সদর উপজেলার কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়নের সুলতান হোসেন মুন্সির মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৩ বছর আগে শাহীন হাওলাদারে সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় সুমির। বিয়ের এক বছর পর থেকেই যৌতুক দাবিসহ খুঁটিনাটি বিষয়ে প্রায়ই স্ত্রীকে নির্যাতন করত শাহিন। বিদেশে যাবার জন্য স্ত্রীর কাছে তিন লাখ টাকা দাবি করে শাহীন। টাকা না পেয়ে স্ত্রী, সন্তানকে ঘর থেকে বের করে তালা ঝুলিয়ে দেন তিনি।

অভিযোগ করে রাবিয়া আক্তার সুমী বলেন, একজন স্বামীর কর্তব্য তার স্ত্রী-সন্তানকে ভালো রাখা। তাদের পড়ালেখা শিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ করা। তবে তিনি এগুলো না করে বাইরে-বাইরে থাকেন। আমার দুই ছেলের ভরণপোষণ ও পড়ালেখার খরচ দেয় না। সবসময় খারাপ ব্যবহার করে। আমি আমার সন্তানদের নিয়ে স্বামীর সংসারে থাকতে চাই।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. তসলিম হোসেন বলেন, এর আগেও শাহীন তার স্ত্রীকে নির্যাতন করেছে। আমরা সালিশি করে মীমাংসা করে দিয়েছি। এরপরও স্ত্রী ও সন্তানদের নির্যাতন করছেন তিনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহীন হাওলাদার বলেন, সুমিকে ডিভোর্স দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলতে চাই না। যা বলার আদালতে বলব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

টাকার জন্য স্ত্রী-সন্তানকে বের করে দিলেন শাহীন

আপডেট সময় : ০৪:৪৯:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

ঝালকাঠিতে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের বাউকাঠি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত শাহীন হাওলাদার নবগ্রাম ইউনিয়নের বাউকাঠির মুনসুর আলীর ছেলে। ভুক্তভোগী রাবিয়া আক্তার সুমি সদর উপজেলার কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়নের সুলতান হোসেন মুন্সির মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৩ বছর আগে শাহীন হাওলাদারে সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় সুমির। বিয়ের এক বছর পর থেকেই যৌতুক দাবিসহ খুঁটিনাটি বিষয়ে প্রায়ই স্ত্রীকে নির্যাতন করত শাহিন। বিদেশে যাবার জন্য স্ত্রীর কাছে তিন লাখ টাকা দাবি করে শাহীন। টাকা না পেয়ে স্ত্রী, সন্তানকে ঘর থেকে বের করে তালা ঝুলিয়ে দেন তিনি।

অভিযোগ করে রাবিয়া আক্তার সুমী বলেন, একজন স্বামীর কর্তব্য তার স্ত্রী-সন্তানকে ভালো রাখা। তাদের পড়ালেখা শিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ করা। তবে তিনি এগুলো না করে বাইরে-বাইরে থাকেন। আমার দুই ছেলের ভরণপোষণ ও পড়ালেখার খরচ দেয় না। সবসময় খারাপ ব্যবহার করে। আমি আমার সন্তানদের নিয়ে স্বামীর সংসারে থাকতে চাই।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. তসলিম হোসেন বলেন, এর আগেও শাহীন তার স্ত্রীকে নির্যাতন করেছে। আমরা সালিশি করে মীমাংসা করে দিয়েছি। এরপরও স্ত্রী ও সন্তানদের নির্যাতন করছেন তিনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহীন হাওলাদার বলেন, সুমিকে ডিভোর্স দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলতে চাই না। যা বলার আদালতে বলব।