ভুল করে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ৮১ লাখ কোটি ডলার!

- আপডেট সময় : ১১:১২:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫ ১৩ বার পড়া হয়েছে
সিটি গ্রুপের এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ২৮০ ডলার পাঠানোর কথা থাকলেও ভুল করে ৮১ ট্রিলিয়ন বা ৮১ লাখ কোটি ডলার পাঠানো হয়। পরে বিষয়টি সংশোধন করা হলেও ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা চলছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই ঘটনার জেরে মার্কিন নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে কোম্পানির কার্যক্রমকে নতুন করে প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ঘটনাটি গত বছরের এপ্রিলে ঘটেছে। বিপুল পরিমাণ অর্থের হেরফের সিটি গ্রুপের পেমেন্টকর্মী এবং লেনদেন যাচাইয়ের জন্য নিয়োজিত দ্বিতীয় পর্যায়ের কর্মকর্তা উভয়ের নজর এড়িয়ে যায়। পরে তৃতীয় এক কর্মী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্সে সমস্যা লক্ষ করেন এবং অর্থ স্থানান্তরের অনুমোদনের ৯০ মিনিট পর লেনদেনটি শনাক্ত করেন।
সিটি গ্রুপ জানিয়েছে, দ্রুততম সময়ে ত্রুটি চিহ্ণিত করা হয়েছে এবং ওই অর্থ স্থানান্তর বাতিল করা হয়েছে। আমাদের নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া অত্যন্ত শক্তিশালী। এটি ব্যাংক থেকে অর্থ বেরিয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিতে সক্ষম।
এই ঘটনার প্রভাব গ্রাহকের ওপর পড়েনি বলেও দাবি করেছে সিটি ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এই ঘটনার পর অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে অর্থ স্থানান্তরে ব্যবহৃত ম্যানুয়াল প্রক্রিয়ার রূপান্তর এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।
ঘটনাটিকে ‘ভুলের কাছাকাছি’ (নেয়ার মিস) উল্লেখ করে ফেডারেল রিজার্ভ এবং অফিস অক দ্য কম্পট্রোলার অব দ্য কারেন্সিকে অবহিত করেছে সিটি গ্রুপ।
‘ভুলের কাছাকাছি’ বলতে এখানে বোঝানো হয়েছে, ভুল অংকের স্থানান্তরিত অর্থ সঠিকভাবে যাচাই এবং দ্রুত সময়ে ফেরত নেওয়া হয়েছে। ফলে ব্যাংকের তহবিল বা গ্রাহক কোনো ক্ষতিতে পড়েনি।
গত বছর সিটি ব্যাংকে এ ধরনের অন্তত ১০টি ঘটনা ঘটেছিল। তবে প্রতিবারই অর্থ পুনরুদ্ধার করা গেছে। প্রতিটি ঘটনায় ১০০ কোটি ডলার বা তারও বেশি পরিমাণ অর্থ স্থানান্তরের ঘটনা ঘটেছিল।
এর আগে ২০২৩ সালে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল ১৩টি।
এ ছাড়াও ব্যাংকের কার্যক্রমগত সমস্যা সমাধানে ব্যর্থতার জন্য সিটিব্যাংককে ১৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার জরিমানা গুনতে হয়েছিল।
সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সম্প্রতি ৮১ লাখ কোটি ডলার স্থানান্তরের ঘটনা ঘটেছিল ইনপুট ত্রুটি এবং একটি জটিল ব্যাকআপ সিস্টেমের কারণে, যেখানে ম্যানুয়ালি তথ্য ইনপুট করার সময় পূর্বনির্ধারিত ১৫টি শূন্য মুছে ফেলা হয়নি।
-রয়টার্স