শান্তর ফিফটির পরও মামুলি পুঁজি পেল বাংলাদেশ

- আপডেট সময় : ০১:০৯:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৬ বার পড়া হয়েছে
১৪ মাস পর নামলেন ওপেনিংয়ে, তবে ইনিংসের প্রথম দিকে ব্যাটে আড়ষ্টতা ছিল আগের ম্যাচের মতোই। তবে ধীরে ধীরে নিজেকে মেলে ধরলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অন্যপ্রান্তে আসা যাওয়ার মিছিলের মাঝে লড়ে গেলেন একাই। তার ফিফটির পর শেষের দিকে লড়িয়ে মানসিকতা দেখালেন জাকের আলি অনিক। তবে এরপরও ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে একটা ভালো স্কোর গড়তে ব্যর্থ হল বাংলাদেশ।
রাওয়ালপিন্ডিতে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে বাংলাদেশ করেছে ৯ উইকেটে ২৩৬ রান। ৭৭ রানে দলের সর্বোচ্চ স্কোরার শান্তই।
সৌম্য সরকার বাদ পড়ায় ধারণা করা হচ্ছিল, মেহেদি হাসান মিরাজই হয়ত ওপেন করবেন। তবে তাকে তিনে ব্যাট করার সুযোগ দিয়ে ওপেন করতে নেমে শান্তই, যিনি নিজে তিন নম্বরে একটা লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং করে আসছিলেন। দলের কম্বিনেশনের সুবিধা করে দিতে পজিশন বদল করেন তিনি।
যদিও সেখানেও শুরুটা মসৃণ হয়নি বাঁহাতি এই ব্যাটারের। নিউজিল্যান্ডের গতিময় পেসারদের বিপক্ষে ভুগতে হয় বাংলাদেশ অধিনায়ককে। প্রথম ১১ বলে করতে পারেন মাত্র ৩ রান। চাপ সরিয়ে এরপর ম্যাট হেনরিকে মিড অন দিয়ে হাঁকান প্রথম বাউন্ডারি।
তবে কাইল জ্যামিসনকে মেডেন দিয়ে নিজের ওপর চাপ বাড়িয়ে ফেলেন শান্ত। এরই মাঝে অন্যপ্রান্তে আউট হন দারুণ ছন্দে থাকা তানজিদ হাসান তামিম। তরুণ এই ব্যাটার করেন বল সমান ২৪ রান। ভারতের বিপক্ষে ভালো শুরুর পর আউট হন বিশের ঘরে। তিনে নামা মিরাজও সুবিধা করতে পারেননি।
এক চার ও এক ছক্কায় তার ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান। তবে অন্যপ্রান্তে ইনিংস যত এগিয়েছে, ততোই নিজেকে ফিরে পান শান্ত। উইলিয়াম ও’রউর্কের করা এক ওভারেই মারেন দুটি চার। ইনিংসের ২৪তম ওভারে শান্ত দেখা পান তার ওয়ানডের দশম ফিফটির। তবে বল খেলে ফেলেন ৭১টি।
শান্তর এই ধীরলয়ের ইনিংসের কারণেই কিনা, ক্রিজে গিয়েই আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম। তবে মাত্র চার বল খেলার পরই মিচেল ব্রেসওয়েলের নিরীহ এক ডেলিভারিতে চেষ্টা করেন স্লগ সুইপে উড়িয়ে মারতে। একেবারেই টাইমিং না হওয়ায় বল চলে যায় সোজা ডিপ মিড উইকেটে থাকা রবীন্দ্র জাদেজার হাতে।
১০৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দল যখন চাপের মুখে, তখন নামেন চোটের কারণে ভারত ম্যাচ মিস করার মাহমুদউল্লাহ। অতীতে অনেকবার এমন জায়গা থেকে দলকে উদ্ধার করেছেন, ফর্মটাও ছিল পক্ষেই। তাই তার ব্যাটের দিকে তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। তবে মাহমুদউল্লাহও সেই ব্রেসওয়েলের বলে উইকেট একইভাবে ছুঁড়েই আসেন। তেড়েফুঁড়ে খেলতে গিয়ে বল তুলে দেন আকাশে। তার আগে ১৪ বলে করতে পারেন মাত্র ৪ রান।
দেখেশুনে এগিয়ে যাওয়া শান্ত ডট বলের চাপে পড়ে গিয়েছিলেন বেশ। শেষ পর্যন্ত সেটার মাশুল দিতে হয় তাকে। সাদামাটা এক স্পেলে বাংলাদেশের সর্বনাশ করা ব্রেসওয়েলের অফ স্পিনে আউট হন শান্তও। ৯ চারে সাজান ১১০ বলের ইনিংস।
১৯৬ রানে ৭ উইকেট হারানোর পরও বাংলাদেশের একটা ভদ্রস্থ স্কোর পাওয়ার মূল অবদান জাকের আলি ও রিশাদ হোসেনের। ২ চার ও এক ছক্কায় ২৬ রানের ক্যামিও খেলেন রিশাদ। এরপরও আড়াইশ রান পার করার আশা টিকিয়ে রেখেছিলেন জাকের আলি।
আগের ম্যাচে ফিফটি করা এই ব্যাটার এবারও ছিলেন একই পথে। তবে ৪৯তম ওভারে রান আউটে কাঁটা পড়েন তরুণ এই ব্যাটার। তবে তার আগে খেলেন ৪৫ রানের দারুণ এক ইনিংস। ২৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের সেরা বোলার ব্রেসওয়েলই।